আস্থা ভোট নিয়ে ধুন্ধুমার বনগাঁ পুরসভায়, ২ বিজেপি কাউন্সিলরকে ঢুকতে বাধা
হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও অপহরণে অভিযুক্ত দুই বিজেপি কাউন্সিলরকে পুরসভার ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আস্থা ভোট নিয়ে উত্তপ্ত বনগাঁ পুরসভা। ১৪৪ ধারার মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ধুন্ধুমার। হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও অপহরণে অভিযুক্ত দুই বিজেপি কাউন্সিলরকে পুরসভার ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
ওই দুই বিজেপি কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তৃণমূল কাউন্সিলরকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। যদিও ওই দুই কাউন্সিলরের গ্রেফতারির ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের সফট কপি মোবাইলে পুলিস ও হাইকোর্টের চেয়ারম্যানকে দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। তবুও তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এই মুহূর্তে আস্থা ভোট চলছে বনগাঁ পুরসভায়। ভিতরে রয়েছেন তৃণমূলের ৯ জন, বিজেপির ৯ জন ও কংগ্রেসের ১ জন। এই কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলকে সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন। আরও দুজন কাউন্সিলর পুরসভার বাইরে অপেক্ষায় রয়েছেন। তারা ভিতরে ঢুকলেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বিজেপি। সেক্ষেত্রে বনগাঁ পুরসভা হাতছাড়া হবে তৃণমূলের। আর ওই দুই বিজেপি কাউন্সিলর ভিতরে ঢুকতে না পারলে তৃণমূল ধরে রাখতে পারবে পুরসভা।
উল্লেখ্য, বনগাঁ পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরকে অপহরণে অভিযুক্ত দুই বিজেপি কাউন্সিলরের গ্রেফতারির ওপর স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বনগাঁ পুরসভার দুই বিজেপি কাউন্সিলর হিমাদ্রি ও কার্তিক মণ্ডলের গ্রেফতারির ওপর ১ সপ্তাহের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি। এর ফলে বনগাঁ পুরসভার আজকের আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এই দুই বিজেপি কাউন্সিলর। উল্লেখ্য, ওই পুরসভার কাউন্সিলর শম্পা মোহন্তকে অপহরণ করা এবং অর্থের বিনিময়ে তাঁকে মুক্ত করার অভিযোগ ছিল এই দুই বিজেপি কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।