বিধায়ক, জেলা সভাপতির পর নিগৃহীত অধ্যাপকের কাছে ক্ষমা চাইল হীরালাল পাল কলেজের ছাত্ররা

“কাউন্সিলর তন্ময় দেব  প্রামাণিক যখন তখন কলেজে ঢুকে হম্বিতম্বি করেন।"

Updated By: Jul 25, 2019, 02:30 PM IST
বিধায়ক, জেলা সভাপতির পর নিগৃহীত অধ্যাপকের কাছে ক্ষমা চাইল হীরালাল পাল কলেজের ছাত্ররা
তন্ময় দেব (বাঁদিকে), সন্দীপ পাল (মাঝে), বিজয় সরকার (ডানদিকে)

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রথমে অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের পা ধরে ক্ষমা চাইলেন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তারপরই নিগৃহীত অধ্যাপকের কাছে কালকের ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইলেন কলেজ ছাত্ররা। কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনায় আজ কলেজে যান তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব ও স্থানীয় বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে আক্রান্ত অধ্যাপককে ফোন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যাপকের নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, নিগ্রহের ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর তন্ময় দেব প্রামাণিকের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে।

এমএ ছাত্রীদের সঙ্গে ডিগ্রী কোর্সের ছাত্র-ছাত্রীদের অশান্তিতে বুধবার অশান্তি ছড়ায় হুগলির কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে। 'তৃণমূল জিন্দাবাদ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়' জিন্দাবাদ স্লোগান না দেওয়ায় ছাত্রীদের মারধর ও আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে কলেজের ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে। এমনকি কলেজের অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে টিএমসিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিএমসিপি। সবটাই বহিরাগত দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বলে দাবি করেছেন টিএমসিপি সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তিনি দাবি করেন, কালকের ঘটনায় ধৃত ২ জন কলেজ ছাত্রও নয়, টিএমসিপি-র সঙ্গেও তাঁদের কোনও যোগ নেই।

আরও পড়ুন, কোন্নগরের নিগৃহীত অধ্যাপককে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর, দুঃখপ্রকাশ, নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ সুব্রতবাবুর

কিন্তু কলেজ অধ্যক্ষ  বলছেন, দুজনেই ছাত্র সংসদের সদস্য। ধৃত সন্দীপ পাল ২০১৫-১৬ বর্ষের বিএ পাসের ছাত্র। বর্তমানে এক্সটার্নাল স্টুডেন্ট। আর বিজয় সরকার কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। পাশাপাশি, বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের প্রশ্নের উত্তরে নিগৃহীত অধ্যাপকও স্পষ্ট জানান, এই ঘটনার পিছনে রয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর তন্ময় দেব প্রামাণিক। তিনি অভিযোগ করেন, “কাউন্সিলর তন্ময় দেব  প্রামাণিক যখন তখন কলেজে ঢুকে হম্বিতম্বি করেন। ছাত্রদেরকে অধ্যাপকদের পেটানোর জন্য ও কলেজে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য উস্কানি দেন। গতকাল তাঁর নির্দেশেই ছাত্ররা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।"

.