ইরানে আটকে সায়ন্তন-বিকাশরা, টালিগঞ্জ-দুর্গাপুরে করোনা আতঙ্কে দুই ইঞ্জিনিয়ারের পরিবার

অন্যদিকে, ছেলে ইরানে আটকে থাকায় দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি অরবিন্দ পল্লীতে রাত জেগে কাটাচ্ছেন বিষ্ণুপদ দাস ও রীনা দাস

Reported By: অয়ন ঘোষাল | Updated By: Mar 4, 2020, 10:25 AM IST
ইরানে আটকে সায়ন্তন-বিকাশরা, টালিগঞ্জ-দুর্গাপুরে করোনা আতঙ্কে দুই ইঞ্জিনিয়ারের পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আতঙ্কে কাঁপছে ইরান। ইতিমধ্যেই সেখানে মৃতের সংখ্যা দুশো ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত সে দেশের মন্ত্রী, সাংসদ, উপরাষ্ট্রপতি। বিমান যোগাযোগ না থাকায় দেশে ফিরতে পারছেন না বহু ভারতীয়। এদের মধ্যে রয়েছেন বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিকাশ দাস।

২০১৭ সাল থেকে ইরানের পারান্দ প্রদেশে কর্মরত টালিগঞ্জের শ্রীমোহন লেনের বাসিন্দা সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়। পেশায় ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সায়ন্তনের কোম্পানিতে ইতিমধ্যেই ৫০ জন কর্মী নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। ফলে কাজে যাওয়া বন্ধ হয়েছে সায়ন্তনের।

আরও পড়ুন-প্রসূতিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে, CID তদন্তের নির্দেশ মমতার

বাড়ি থেকে সায়ন্তনের অফিসের দূরত্ব একশো কিলোমিটার। আবাসনে প্রভাব না পড়লেও গোটা এলাকা কাঁপছে আতঙ্কে।  সায়ন্তনের সঙ্গে এলাকায় রয়েছে ১৩ বাঙালি-সহ ৫৬টি ভারতীয় পরিবার। এরা সবাই এখন দেশের ফিরতে মরিয়া। কিন্তু একের পর এক বিমান বাতিল হওয়ায় তারা আটকে রয়েছেন আবাসনেই। ভারতীয় দূতাবাস কিছু বলতে পারে না। এদের টালিগঞ্জে আতঙ্কে কাটাচ্ছে সায়ন্তনের মা, ভাইবোন-সহ গোটা পরিবার।

অন্যদিকে, ছেলে ইরানে আটকে থাকায় দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি অরবিন্দ পল্লীতে রাত জেগে কাটাচ্ছেন বিষ্ণুপদ দাস ও রীনা দাস। ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বিকাশ দাস তেহরানে কর্মরত। একবছর আগেই দুবাই থেকে গিয়ে সেখানে কাজে যোগ দিয়েছেন। গত এগারো দিন বিকাশ-সহ মোট ২৫ ভারতীয় সেখানে আটকে। ঘর থেকে বের হতেই পারছেন না।

আরও পড়ুন-দিল্লির হিংসার প্রতিবাদে বুধবার ব্লকে ব্লকে ধিক্কার মিছিল তৃণমূলের  

বিকাশের মা-বাবা উদ্বেগে আর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন কবে ছেলে ফিরবে বাড়িতে সেই আশায়। তেহরান থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদেরকে দেশে ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন বিকাশ দাস। আর তার বৃদ্ধ মা -বাবা আজ দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক এর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন।

-তথ্য-অয়ন ঘোষাল ও চিত্তরঞ্জন দাস

.