বেডে পড়ে মোবাইল, হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ কোভিড রোগী, ২৪ ঘণ্টা পর মিলল মৃতদেহ
হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ। টানা একদিন পর মিলল হদিস। তবে ততক্ষণে তিনি আর বেঁচে নেই। হাসপাতালের নজরদারি ব্যবস্থার দিকে আঙুল তুললেন পরিবারের লোকজন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ। টানা একদিন পর মিলল হদিস। তবে ততক্ষণে তিনি আর বেঁচে নেই। হাসপাতালের নজরদারি ব্যবস্থার দিকে আঙুল তুললেন পরিবারের লোকজন।
করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মধ্যে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে জলপাইগুড়ি বিশ্ববাংলা কোভিড হাসপাতাল(Covid Hospital)। কখনো মৃতদেহ নিখোঁজের অভিযোগ, আবার কখনো কোভিড আক্রান্ত রোগী নিখোঁজ। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি বিশ্ববাংলা কোভিড হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান এক করোনা রোগী। কর্তৃপক্ষের কাছে সদুত্তর না মেলায় থানার দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে শুক্রবার সেই নিখোঁজ রোগীর মৃতদেহ উদ্ধার হল রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে জেলায়।
আরও পড়ুন- Corona India Update: সামান্য কমল দৈনিক সংক্রমণ, বাড়ল সুস্থতা, ৪ হাজারের নীচে নামল মৃত্যুও
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি বিশ্ববাংলা কোভিড হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হন করোনা আক্রান্ত নুকুরু রায় ( ৬২)। জলপাইগুড়ি জেলার চালসার পূর্ব বাতাবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা নুকুরু রায় গত ১১ তারিখে চালসা সেফ হোম থেকে করোনা পজেটিভ হয়ে জলপাইগুড়ি বিশ্ববাংলা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হন। পরিবারের সদস্যরা জানান, সব ঠিক ছিল। কিন্তু নুকুরু রায়ের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও নুকুরুবাবু ফোন তোলেনি। পরিবারের সদস্যরা সময় নষ্ট না করে তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে চলে আসেন। হাসপাতালে ভেতরে গিয়ে দেখেন নুকুরু বাবু বেডে নেই। শুধুমাত্র তার মোবাইল ফোনটি রয়েছে৷ এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে হাসপাতাল চত্তরে।
প্রশ্ন উঠছে একটা সরকারি হাসপাতালে থেকে নিরাপত্তা কর্মী থাকার পরেও কীভাবে পালিয়ে গেল। পরিবারের পক্ষথেকে নিখোঁজ রোগীর খোঁজ পেতে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকে একটি অভিযোগ করেন। পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত চেয়ে পুলিশের দারস্থ ও হয় পরিবার ৷
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে কাঁদলেন রাজ্যপাল
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাজগঞ্জের ফাটাপুকুর এলাকায় স্থানীয়রা ওই ব্যক্তিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। সন্ধ্যার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে পৌঁছান মৃতের পরিবার। পরে মৃতদেহ দাহ করার জন্য সাহুডাঙ্গির বৈতরণী শ্মশান ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।
মৃতের ভাই ধীনেশ্বর রায় বলেন, জলপাইগুড়ি বিশ্ববাংলা কোভিড হাসপাতালে নিরাপত্তা-ব্যবস্থা ঠিকঠাক নেই। মাঝেমাঝেই রোগী নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। আমার দাদার মৃত্যুর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়ী।