রাজা রামমোহন রায়ের মামাবাড়িতে করোনার থাবা!
শ্রীরামপুরে করোনা আক্রান্ত হলেন পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর ,রাজা রামমোহন রায়ের মাতুল বংশের সম্পর্কে নাতি পিনাকী ভট্টাচার্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজা রামমোহন রায়ের মামার বাড়িতে করোনার থাবা। শ্রীরামপুরে করোনা আক্রান্ত হলেন পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর ,রাজা রামমোহন রায়ের মাতুল বংশের সম্পর্কে নাতি পিনাকী ভট্টাচার্য।
কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার হার যখন বাড়ছে তখন গত এক সপ্তাহে কোভিড-১৯ আক্রান্ত চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে শ্রীরামপুর পুর প্রশাসনের কপালে। গোটা হুগলি জেলায় এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৭১০ জন।
তার মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৪৪৪, একটিভ ২৫২ জন। যার মধ্যে শুধু শ্রীরামপুরেই ৫২ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত একটিভ রয়েছেন। লকডাউনের প্রথম দিকে শ্রীরামপুরে করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলতেই মানুষকে সচেতন করতে লাগাতার প্রচার শুরু হয়। বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা। তাতে কাজও হয়। একটা সময় ২৯ জন আক্রান্ত সুস্থ হয়ে ওঠেন। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাও কমতে থাকে।আনলক পর্বে আবার কোভিড আক্রান্ত বাড়তে থাকে।এই পরিস্থিতিতে শ্রীরামপুরে ব্যাঙ্ক,রেশন দোকানে দেখা যাচ্ছে দীর্ঘ লাইন, সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই।
আরও পড়ুন: বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বীরভূমের শহিদ জওয়ান রাজেশের শেষ মেসেজ, 'চিনের দ্রব্য ব্যবহার করিস না'
গাদাগাদি করে গা ঘেঁষে লাইন দিয়ে অথবা জরো হয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে অনেককেই। শ্রীরামপুর পুরসভার প্রশাসক অমিয় মুখোপাধ্যায় জানান,পরিষেবা দিতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন পিনাকী। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কেন সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। সব স্বাস্থবিধি মেনে কাজ চলছে। নাগরিকদেরও সচেতন করা হচ্ছে তাও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বিজেপির অভিযোগ করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ প্রশাসন। তাই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।