Cow Smuggling: কেষ্ট-কন্যাকে দিল্লিতে তলব ইডি-র, হাজিরা এড়াবেন সুকন্যা!

প্রসেনজিত্ মালাকার: অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে সরাসরি দিল্লিতে তলব করল ইডি। আজ তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা। তবে তিনি ওই হাজিরা দেবেন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর বেশ কিছুদিন ধরেই বোলপুরে নেই সুকন্যা। আজ তাঁর ইডির হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ার কী কারণ তিনি দেখান সেটাই এখন দেখার।

গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত জেলে যাওয়ার পর তাঁর একের পর এক ঘনিষ্ঠদের জেরা করে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি, সিবিআই। অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষীর সায়গল হোসেনের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় একশো কোটির কাছাকাছি। তার সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট। এদিকে, সুকন্যা মণ্ডলের সম্পত্তির হদিশ করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে প্রাইমারি স্কুল শিক্ষিকা সুকন্যার ৮ বছরে সম্পত্তি বেড়েছে ১৭৫ গুণ। ২০১৩-১৪ থেকে ২০২১-২২-এর মধ্যে আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ। ২০১৯-২০-তে আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সুকন্যার আয়কর রিটার্ন থেকেই এই তথ্য পেয়েছে সিবিআই। সামান্য প্রাথমিক শিক্ষিকার এই বিপুল আয়বৃদ্ধি কোন জাদুতে? চার্জশিটে প্রশ্ন সিবিআই তদন্তকারীদের। শুধু সুকন্যা নয়, বিপুল হারে সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে অনুব্রত মণ্ডলেরও। ৮ বছরে অনুব্রতর আয় বেড়েছে প্রায় ১৯ গুণ।

সুকন্যার আয় বৃদ্ধি 
বছর   আয় (টাকা) 
২০১৩-১৪  ৩ লাখ ৯ হাজার ৩৯৯ 
২০১৪-১৫ ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬ 
২০১৫-১৬  ১০ লাখ ১৫ হাজার ৬৬৭ 
২০১৬-১৭  ৪৯ লাখ ২৪ হাজার ৬২৭ 
২০১৭-১৮  ৪৯ লাখ ৩২ হাজার ৯৮৮ 
২০১৮-১৯ ৫১ লাখ ৪১ হাজার ৩২১ 
২০১৯-২০ ১ কোটি ২৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯৯ 
২০২০-২১‍ ১ কোটি ৪৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯০ 
২০২১-২২ ৯২ লাখ ৯৭ হাজার ৬০০ 

অন্যদিকে, অনুব্রতর আয় বৃদ্ধি 

২০১৩-১৪  ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৩৭ 

২০১৪-১৫  ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬০৪ 
২০১৫-১৬   ১৫ লাখ ২০ হাজার ৫৯ 
২০১৬-১৭ ৩২ লাখ ১ হাজার ৪৭১ 
২০১৭-১৮ ৪৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৬২ 
২০১৮-১৯ ৫০ লাখ ৬১ হাজার ৭৩৭ 
২০১৯-২০ ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার ৫৫১ 
২০২০-২১ ৪৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪০ 
২০২১-২২ ১ কোটি ১ লাখ ৩ হাজার ৬৬৪  

এদিকে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়েছে সুকন্যা মণ্ডলের। অভিযোগ, টেটে পাস না করেই বোলপুরে বাড়ির কাছেই কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পেয়েছিলেন তিনি। ক্লাস নেওয়া তো দূর অস্ত, একদিনও স্কুলে যাননি! উল্টে হাজিরা খাতা বাড়িতে পাঠিয়ে দিত স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাতে শুধু সই করে দিতেন কেষ্ট কন্যা!