Cracker Blast: তীব্র গরমে বাজি বিস্ফোরণ হতেই পারে; সরব সৌগত, পাল্টা মোক্ষম জবাব দিলীপের
Cracker Blast: মঙ্গলবার ইংরেজবাজারে একটি বাজির গোডাউনে বিস্ফোরণ ঘটে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। গোডাউনে কাজ করছিলেন একাধিক কর্মী। সে সময়ই অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে সূত্রের খবর। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে।
ই গোপী: এগরা, বজবজ, মালদহের ইংরেজবাজার। একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। বেআইনি বাজি বিস্ফোরণ নিয়ে রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বেলদায় আজ সাংসদের মুখে শোনা গিয়েছে আজব কথা। তাঁর দাবি, এই তীব্র গরমে 'পটাশিয়াম ক্লোরেট ও আর্সেনিক ট্রাইসালফাইড' বাইরে রেখে দিলে বিস্ফোরণ হতেই পারে। সৌগত রায় আরও জানিয়েছেন, রাজ্যের আরও ৩৮ হাজার গ্রামে কোথায় কোথায় বোমা রয়েছে, এটা পুলিসের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। সাংসদের এই মন্তব্যের পর নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন-এগরার পর এবার বজবজ, বাজির গোডাউনে ভয়ংকর বিস্ফোরণে মৃত কিশোরী-সহ ৩
এদিকে, এই প্রসঙ্গে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, উনিতো সায়েন্টিস্ট উনি বলতে পারবেন। প্রশ্ন হচ্ছে বোমাটা এলো কোথা থেকে? বোমা কেন ফেটেছে সেটা জানি না। এমন শক্তিশালী বোমা, এত অবৈধ কারখানা কেন তৈরি হচ্ছে ? পুলিস জানার পরেও কেন চলছে ? বোমা গরমে ফাটুক আর ঠান্ডায় ফাটুক, যেসব মানুষ মারা যাচ্ছে তার দায় কে নেবে?
এই জন্য উনি হয়তো হঠাৎ মনে করছেন আমার বলার দরকার। সরকারের যে গাফিলতি হচ্ছে যার ফলে এত জীবনহানি হচ্ছে আর অবৈধ কাজ হচ্ছে এটা বন্ধ করা দরকার। সৌগত বাবু, আপনি এমন কথা বলেন যা সাধারণ মানুষের বোধগম্য হয় না। শুধুই কি এবছর গরম পড়ল? প্রত্যেক বছর গরম পড়ে। বাজি ফাটে না কেন। আর সারা পশ্চিমবাংলায় টিএমসি নেতাদের বাড়িতে বাজি ফাটছে কেন। এই ধরনের শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করবেন না।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ইংরেজবাজারে একটি বাজির গোডাউনে বিস্ফোরণ ঘটে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। গোডাউনে কাজ করছিলেন একাধিক কর্মী। সে সময়ই অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে সূত্রের খবর। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলও। বালি ও জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে দমকল কর্মীরা। সকাল ৬টা নাগাদ আগুনের শিখা দেখা যায়। তার পর বিস্ফোরণের শব্দ কানে আসে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলকে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানের শাটার ভাঙে দমকলবাহিনী। ভেতরে ঝলসানো ২ টি দেহ উদ্ধার হয়। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও তিন শ্রমিক। বাজিতে কোনও রেয়াত নয়। সোমবারই ঘোষণা করা হয়েছিল নবান্ন থেকে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এবার মালদহ। শহরের মধ্যেই দীর্ঘদিন চলছিল এই বাজি কারখানা।
রবিবার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বজবজের নন্দরামপুরের দাস পাড়ায়। ওই বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যু হয়। কারখানার ছাদে মজুত বাজিতে আগুন লেগেই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা যাচ্ছে। ছাদের উপরে শেড বানিয়েই বাজি রাখা হয়েছিল। সেখানে কাজ করছিলেন ২ মহিলা। নিষিদ্ধ চকলেট বাজিও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে কারখানা চত্বরে। কারখানায় অগ্নি নির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা চেখে পড়েনি। পুলিস এনিয়ে কিছু বলতে নারাজ। এলাকায় আরও কোনও বাজি কারখানা রয়েছে কিনা তা ঘুরে দেখে পুলিস। কারখানা থেকে বহু বাজির প্যাকেটে এনে লরিতে তোলে পুলিস। অন্যদিকে, এগরার খাদিকুল গ্রামে প্রবল বিস্ফোরণ উড়ে যায় একটি বাজি কারখানার ছাদ। মৃত্যু হয় ৯ জনের। আহত অবস্থা পালিয়ে যায় কারখানার মালিক ভানু বাগ। ওড়িশার হাসপাালেই তার মৃত্যু হয়।