Budge Budge Cracker Godown Fire: এগরার পর এবার বজবজ, বাজির গোডাউনে ভয়ংকর বিস্ফোরণে মৃত কিশোরী-সহ ৩
Budge Budge Cracker Godown Fire: রবিবার সন্ধে সাড় সাতটার পরে ওই বাজির গোডাউনে আগুন লেগে যায়। বিকট বিস্ফোরণ কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। জানা যাচ্ছে ২ জন ওই অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন। তবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এগরার খাদিকুলের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার দক্ষিণ ২৪ পরগানার বজবজ। বিধ্বংসী আগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই বাজির গোডাউন। ঘটনাটি ঘটেছে বজবজের নন্দরামপুরের দাস পাড়ায়। এখনওপর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ওই অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এদের দুজনের মধ্যে ২ মহিলা। অন্যজন ১৩ বছরের এক কিশোরী। আহত এক মহিলাকে বজবজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ৩।
আরও পড়ুন-শিশুরা লনে খেলতে পারবে কিনা ঠিক করতে ভোটাভুটি, তুঘলকিকাণ্ড পাইকপাড়ার আবাসনে
রবিবার সন্ধে সাড় সাতটার পরে ওই বাজির গোডাউনে আগুন লেগে যায়। বিকট বিস্ফোরণ কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। জানা যাচ্ছে ২ জন ওই অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েচেন আরও একজন। তবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা সেখ সাবির বলেন, আমি অ্য়াম্বুল্যান্স চালক। চড়িয়ালে ছিলাম। শুনলাম একটা ফায়ার বক্সে আগুন লেগেছে। ছুটে এলাম। ১৯৯৪ সাল থেকে শব্দ বাজি নিষিদ্ধ ছিল। তার পর থেকে গ্রিন ক্রাকার তৈরি হয়। সেই গ্রিন ক্রাকার ফায়ার বক্সে আগুন লেগেছিল বলে শুনেছি। তার পর কী থেকে কী হয়েছে বলতে পারব না।
ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসে পুলিস। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেটিকে ঘিরে ফেলে পুলিস। কারখানার ছাদে মজুত বাজিতে আগুন লেগেই বিস্ফোরণ ঘটে যায় বলে জানা যাচ্ছে। ছাদের উপরে শোড বানিয়েই বাজি রাখা হয়েছিল। সেখানে কাজ করছিলেন ২ মহিলা। নিষিদ্ধ চকলেট বাজিও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে কারখানা চত্বরে। কারখানায় অগ্নি নির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা চেখে পড়েনি। পুলিস এনিয়ে কিছু বলতে নারাজ। এলাকায় আরও কোনও বাজি কারখানা রয়েছে কিনা তা ঘুরে দেখে পুলিস। কারখানা থেকে বহু বাজির প্যাকেটে এনে লরিতে তোলে পুলিস। কারখানা মালিকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। দমকল এলেও রাস্তা সরু হওয়া সেটি ঢুকতে পারেনি। স্থানীয় মানুষজনই আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
কয়েকদিন আগেই এগরার খাদিকুল গ্রামে এক বাজি কারখানা একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে। বিস্ফোরণের দাপটে উড়ে যায় কারখানার ছাদ। মৃতদেহ ছিটকে গিয়ে পড়ে কয়েক মিটার দূরের পুকুরে। কারখানার চারদিকে ছড়িয়ছিটিয়ে পড়ে দেহাংশ। ভয়ঙ্কর ওই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৯ জনের। ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করে বিজেপি।
ওড়িশা সীমান্ত ঘেঁসা ওই বাড়িটি গ্রামের বাইরের দিকে। আগেও ওই বাজি কারখানায় পুলিসে রেইড হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই লুকিয়েচুরিয়ে চলছিল বাজি তৈরি। তার মধ্যেই ওই বিস্ফোরণ। ভানু বাগ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতেই ছিল ওই বাজি কারখানা। পুলিসকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি বলে দাবি গ্রামবাসীদের। আজ বিস্ফোরণের পর যখন পুলিস আসে সেইসময় লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিসকে তাড়া করে গ্রামবাসী। পুলিসকর্মীদের মারধরও করা হয়।