কাটমানি ফেরত চেয়ে পোস্টারে ছয়লাপ দুর্গাপুর, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতৃত্ব
অভিযুক্ত জয়ন্ত রক্ষীত পাল্টা যুক্তিতে জানান, যে এটি চক্রান্ত। সম্প্রতি তিনি দলের তরফে ব্লকের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন বলেই তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাটমানি ও তোলাবাজির অভিযোগে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল দুর্গাপুরে। বাদ গেল না ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয়ও। অভিযোগ দুর্গাপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল নেতা জয়ন্ত রক্ষীত ও রজত সেনের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, এবছর লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের পর দুর্গাপুরে সমস্ত কমিটি ভেঙে দেয় তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। নতুন কমিটি তৈরি করা হলে এক নম্বর ব্লকের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পান জয়ন্ত রক্ষীত। এ ছাড়াও দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির সঙ্গে যুক্ত তিনি।
আরও পড়ুন: পুলিস ক্যাম্পের পাশেই ফের ভয়াবহ বিস্ফোরণে কাঁপল বীরভূম
অভিযোগ, পদের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষের থেকে টাকা নিতেন তিনি। মাছ বিক্রেতা শ্যামাপদ ধীবরের অভিযোগ, গত ৬ মাস আগে মাছ বিক্রি শুরুর সময় ওই এলাকার দুই তৃণমূল নেতা জয়ন্ত রক্ষিত এবং রজত সেন ব্যবসা করার জন্য তাঁর কাছে টাকা দাবি করে। মাসিক ৮০০ টাকার বিনিময়ে ওই স্থানে বসার অনুমতি পান শ্যামাপদ ধীবর। শ্যামাপদ বাবু জানান, চলতি মাসে কোনও কারণে টাকা দিতে দেরি হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেন ওই দুই তৃণমূল নেতা। এই মর্মে দুর্গাপুর মহকুমা শাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে জানিয়েছেন, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন এবং পুলিসকে এ বিষয়ে ঘটনার তদন্ত করতে বলেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন মহকুমা শাসক। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পুরমাতা রিনা চৌধুরী জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশে কোনও রকম তোলাবাজি বরদাস্ত করা হবে না দলে। পুলিসকে ঘটনার সঠিক তদন্তের আবেদন জানান পুরমাতা।
অভিযুক্ত জয়ন্ত রক্ষীত পাল্টা যুক্তিতে জানান, যে এটি চক্রান্ত। সম্প্রতি তিনি দলের তরফে ব্লকের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন বলেই তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে এই ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।