ক্রমশ বাড়ছে শক্তি, এবার স্থলভাগের আরও কাছাকাছি চলে এল Yaas

দীঘা থেকে আর কত দূরে Yaas?

Updated By: May 24, 2021, 07:15 PM IST
ক্রমশ বাড়ছে শক্তি, এবার স্থলভাগের আরও কাছাকাছি চলে এল Yaas

নিজস্ব প্রতিবেদন: ধেয়ে আসছে ইয়াস (Cyclone Yaas)। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ইতিমধ্যে সমস্ত রকমের প্রস্তুতি সেড়ে ফেলেছে প্রশাসন। তবে এখনও দগদগে আমফানের স্মৃতি৷ তাই আতঙ্কের প্রহর গুনছে ওড়িশা-সহ এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বিকেল সাড়ে ৫টার উপগ্রহ চিত্র অনুযায়ী দীঘা (Digha) থেকে আর ৫৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ইয়াস (Cyclone Yaas)। ক্রমশ গতি বাড়িয়ে তা ধেয়ে আসছে স্থলভাগের দিকে।

আরও পড়ুন: দীঘা-হলদিয়ায় শুরু ঝোড়ো হওয়ার দাপট, ৩০০ স্কুল-৪৬ শিবিরে সরানো হচ্ছে মানুষজনকে

হাওড়া অফিসের তরফে দুপুর আড়াইটের সময় জানান হয়, তখন দীঘা (Digha) থেকে ৬১০ কিলোমিটার দূরে ছিল ইয়াস (Cyclone Yaas)৷ তিন ঘণ্টায় প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ফেলেছে সেটি৷ আগে জলভাগে ইয়াসের (Cyclone Yaas) গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার৷ এখন যা বেড়ে হয়েছে ঘণ্টায় ৭ কিলোমিটার৷ হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছে, বুধবার সকাল কিংবা দুপুরেই আছড়ে পড়বে ইয়াস (Cyclone Yaas)। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় ইয়াসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার৷ বর্তমানে পারাদ্বীপ থেকে ৪৯০ কিলোমিটার এবং বালাসোর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ইয়াস (Cyclone Yaas)৷    

আরও পড়ুন: Yaas মোকাবিলায় প্রস্তুতি তুঙ্গে হাওড়া জেলায়, বিশেষ সতর্কতা গ্রামীণ এলাকায়

ইয়াস মোকাবিলায় ইতিমধ্যে সমস্ত রকমের প্রস্তুতি সেড়ে ফেলেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার৷ রাজ্যের সঙ্গে আগেই বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)৷ সোমবার বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)৷ সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশকে সমস্ত রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে৷ নবান্নের পাশে উপান্নের কন্ট্রোল রুম তৈরি হয়েছে৷ রাতে থেকে সেখান থেকেই গোটা পরিস্থিতি মনিটারিং করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)৷  প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে৷ সমুদ্র থেকে ফিরেছেন মৎস্যজীবীরা৷ প্রান্তিক এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে শুকনো খাবার, ত্রাণ, ত্রিপল৷ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী, দলকল বাহিনীকে৷

.