বাঁধ ভেঙে জলশূন্য দুর্গাপুর ব্যারেজ! প্রভাব পড়তে চলেছে তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনে

আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব  দুটি রিজার্ভার রয়েছে।  এই রিজার্ভারে প্রায় পনেরো লক্ষ কিউবিক মিটার জল মজুত রাখা হয়। 

Updated By: Nov 1, 2020, 12:34 PM IST
বাঁধ ভেঙে জলশূন্য দুর্গাপুর ব্যারেজ! প্রভাব পড়তে চলেছে তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনে

নিজস্ব প্রতিবেদন: মাছ ধরার জন্য খোলা হয় দূর্গাপুর লকগেট। অসাধু এই কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে ব্যারেজের আধিকারিকরাও, মাছের ভাগ তারাও পান, এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এক মৎসজীবীর। অন্যদিকে, জলশূন্য হয়ে পড়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজ। প্রভাব পড়তে চলেছে মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনে।

ওই মৎসজীবী বলেন, "আগের বার কোনের গেট ভাঙে। সে সময়ও মাছ ধরতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। সেই আধিকারিকরা ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছেন। কটার সময় আসতে হবে মাছ ধরতে সেই সমস্তটাই মৎসজীবী ও ব্যারেজ আধিকারিকের মধ্যে ঠিক করা থাকে"।

মৎসজীবীর অভিযোগ সঠিক হলে, একটা বড়সড় আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। মেরামতি হলেও এভাবে অসাধু কারবার চলতে থাকলে ফের লকগেট ভাঙার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বাড়িতে! পুড়ে মৃত্যু জ্যোতিষ সম্রাট জয়ন্ত শাস্ত্রী

দুর্গাপুর ব্যারেজ ভেঙে গিয়েছে, ২৪ ঘণ্টা হয়ে পার। বালির বস্তা দিয়ে জল আটকানোর কাজ চলছে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু জলে টান থাকার কারণে তা সম্ভব হয়নি। প্রচুর জল বেরিয়ে গিয়েছে। যার ফলে দেখা দিতে চলেছে বিরাট বিপত্তি।

 

লকগেট ভেঙে যাওয়ায় দুর্গাপুর ব্যারেজ এখন প্রায় জলশূন্য। আর এর বড়সড় প্রভাব এবার পড়তে চলেছে পূর্ব ভারতের বৃহত্তম তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র মেজিয়াতে। ইতিমধ্যেই ওই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব রিজার্ভারে যে জল মজুত রয়েছে, তাতে আগামী দুদিন উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। তারপরও জল সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে উৎপাদন কমার আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিতে পারে রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ থেকে শুরু করে ইসিএল,  রেল সহ বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে।

আরও পড়ুন: দিনের পর দিন রাত জেগে চিকিৎসকদের মাথার কাছে বসে করোনা আক্রান্ত নির্মল মাজি

মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দৈনিক ২৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।  এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল কয়লা ও জল। এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার জন্য  দৈনিক দেড় লক্ষ কিউবিক মিটার জলের প্রয়োজন হয়। এই জলের সবটাই আসে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে। আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব  দুটি রিজার্ভার রয়েছে।  এই রিজার্ভারে প্রায় পনেরো লক্ষ কিউবিক মিটার জল মজুত রাখা হয়।  গতকাল দুর্গাপুর ব্যারেজে লক গেট ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব দুটি রিজার্ভারে আপাতত যে জল মজুত আছে তাতে আগামী দুদিন উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা সম্ভব বলে জানিয়েছে মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুদিনের মধ্যে জল সরবরাহ শুরু না হলে সেক্ষেত্রে মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হবে রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ সহ অন্যান্য শিল্প ক্ষেত্রে।

ঘটনাস্থলে, পৌঁছে মেজাজ হারিয়েছেন মেয়র। ইঞ্জিনিয়ারকে তিরস্কার করেন।

Tags:
.