Jalpaiguri: উত্তাল নদীজল ভাসিয়ে দেয় জনপদ! ভোটের আগেই কি বাঁধনির্মাণের কাজ শুরু হবে?
Jalpaiguri: এখন দেখার বিষয়, ভোটের আগে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয় কিনা। নাকি শুধু পরিমাপপর্বটি সমাধা হয়। কী ঘটে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। আসলে বর্ষা এসে গিয়েছে এই অঞ্চলে। ভারী বর্ষা হবে বলে পূর্বাভাসও রয়েছে। তাই হতে পারে, এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সেচ দফতরের তরফে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার এসে পড়েছে বর্ষা, এ খবর প্রচারিত হতেই জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট সেচ দফতরের কর্মীরা ধুপগুড়ি গাদং ১ নম্বর অঞ্চলের কাজীপাড়া এলাকার ডুডুয়া নদীবাঁধ পরিদর্শনে এলেন। এসে তাঁরা প্রায় ৬০০ মিটার এলাকা জুড়ে নদীবাঁধের পরিমাপ করলেন। তবে কি নতুন বাঁধ নির্মিত হবে?
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: পাকাপাকি এল বর্ষা? ভোরের আলো ফোটার আগেই মাটি স্পর্শ করল নতুন বৃষ্টি...
এলাকাবাসীদের কথায়, এর আগেও এখানে এ ধরনের পরিমাপ হয়েছে। তবে বাঁধ তৈরি হয়নি। তাই এবারও তারা নিশ্চিত হতে পারছেন না, আদৌ বাঁধ নির্মাণ হবে কি না। তাঁরা অবশ্য এই বাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করেই ভোট বয়কচের ডাক দিয়ে রেখেছেন। তবে যদি তাঁরা দেখেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই স্থানীয় প্রশাসন এই বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করে দেয়, তবে তাঁরা তাঁদের আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন।
তাঁরা বলছেন, এখন দেখার বিষয়, ভোটের আগে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয় কিনা। নাকি শুধু পরিমাপপর্বটি সমাধা হয়। কী ঘটে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। আসলে বর্ষা এসে গিয়েছে এই অঞ্চলে। ভারী বর্ষা হবে বলে পূর্বাভাসও রয়েছে। তাই হতে পারে, এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সেচ দফতরের তরফে।
তীব্র দাবদাহেরও অবসান ঘটেছে। নতুন ভোরের আলো ফোটার আগেই জলপাইগুড়ির মাটি স্পর্শ করেছে বর্ষা। সোমবার সূর্যোদয়ের আগেই পারদ নেমে যেতে থাকে দ্রুত। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর থেকে প্রকাশিত বর্ষার দিনপঞ্জি মিলে গেল জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়িতে অবশেষে নেমেছে বর্ষা। এতদিন প্রখর রোদের উত্তাপ একরকম মুখ বুজে সহ্য করেছেন মানুষ। গাছপালা শুকিয়ে গিয়েছে। চারিদিক রুখাশুখা। তবে অবশেষে সেই অবস্থার বদল ঘটল। আকাশ জুড়ে নামল বৃষ্টি। গাছের পাতাগুলি যেন বৃষ্টির নতুন স্পর্শে মৌসুমী হাওয়ার তালে তালে নেচে উঠল।
তাপপ্রবাহের মধ্যেই বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল জেলায় জেলায়। বলা হয়েছিল, কিছুটা হলেও হাঁসফাঁস গরম থেকে রক্ষা পাবেন রাজ্যবাসী। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরবঙ্গে অর্থাৎ বাংলায় বর্ষা প্রবেশের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। যদিও জলপাইগুড়িতে মৌসুমী বায়ু বা বর্ষা প্রবেশের স্বাভাবিক দিন ছিল ৭ জুন। তবে বাংলায় এবার দেরিতে বর্ষার আগমন। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষা প্রবেশ করবে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় আবহাওয়া দফতর। তাই উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি।