Durga Puja 2022: মসজিদের সামনেই বৃন্দাবন, ঢাকের আওয়াজ আর আজানের ধ্বনি মিলেমিশে একাকার
পুজো কমিটির সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, মসজিদের সামনে বৃন্দাবন। রোজার পরেই পুজো। এটাই তো ভারতবর্ষের সংস্কৃতি। ধর্মীয় সংকীর্ণতা নয়, অখণ্ড ভারতের সম্প্রীতির ছবিটাই আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি
অরূপ লাহা: রাস্তার একদিকে একখণ্ড 'বৃন্দাবন'। আর ঠিক ওপারে মসজিদ। বর্ধমান শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ট্রাফিক কলোনীতে আজানের ধ্বনি আর ঢাকের আওয়াজ মিলেমিশে একাকার। বাজেপ্রতাপপুরের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় ঐতিহ্যবাহী শোলাপুকুর মসজিদের সামনেই সেজে উঠছে বৃন্দাবন। বাজেপ্রতাপপুরের ট্রাফিক কলোনীর বারোয়ারী দুর্গাপুজো। গতবছর থেকে এই পুজো হচ্ছে বর্ধমানের প্রাচীন শোলাপুকুর মসজিদের সামনে। রেলের উড়ালসেতুর ঠিক নীচে।
পড়ুন- বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
শতাব্দীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকা এই পুজো বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। গত বছর এই পুজোর হাল ধরেন স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুল আলম। তিনি সভাপতি হয়ে এলাকার সকলকে নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করেন। শুরু হয় নতুন করে দুর্গাপুজো। এবারের পুজো ৯৯তম বর্ষের। থিম বৃন্দাবন। গত বছরের থিম ছিল ‘কেদারনাথ’। পুজো নিয়ে নাওয়া খাওয়ার সময় নেই হায়দার খান, ফজরউদ্দিন, সুমন দত্ত,পলাশ নাগদের। পুজো কমিটির সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, মসজিদের সামনে বৃন্দাবন। রোজার পরেই পুজো। এটাই তো ভারতবর্ষের সংস্কৃতি। ধর্মীয় সংকীর্ণতা নয়, অখণ্ড ভারতের সম্প্রীতির ছবিটাই আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
সভাপতি নুরুল আলম বলেন, পুজোর চারদিন পুজোর পুরো দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেয় এলাকার সংখ্যালঘু ভাইরা। পাশাপাশি উদ্দেশ্য হল পুজোয় সবার সঙ্গে এক পরিবারের মতো করে থাকা। বাজেপ্রতাপুরের সম্প্রীতির পুজো হচ্ছে, এটা বড় কথা না। এটা আমাদের এলাকার সংস্কৃতি। এখানে মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার-সব রয়েছে। পুজো, ইদ, ছট পুজোতেও আমরা একইভাবে থাকি। ট্রাফিক কলোনীর পুজো কমিটির মোট ৩০০ জন সদস্যের মধ্যে ২০০ জনই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।