Durga Puja 2022: কনকদু্র্গার ভোগে হাঁসের ডিম, নবমীতে মোষের মাংস!

Jhargram Chilkigarh Raj Palace, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কথিত আছে দৈবাদেশে রাণীর হাতের সোনার কঙ্কন দিয়ে তৈরি হয়েছিল মায়ের বিগ্রহ, তাই চিল্কিগড় রাজ পরিবারের কুলদেবী মায়ের নাম কণকদুর্গা। চিল্কিগড়ের রাজপরিবারের কুলদেবীর পুজোতেও নিয়মও রয়েছে অনেক। তাই এই পুজা আর পাঁচটা পুজোর  থেকে একদমই আলাদা। এক পাশে বয়ে গিয়েছে ডুলুং নদী । তিন দিক ঘেরা ভেষজ গাছের জঙ্গল । আর তারই মাঝে মা কণকদুর্গার মন্দির। 

Updated By: Sep 22, 2022, 11:42 AM IST
Durga Puja 2022: কনকদু্র্গার ভোগে হাঁসের ডিম, নবমীতে মোষের মাংস!
ফাইল ছবি

Jhargram Chilkigarh Raj Palace, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কথিত আছে দৈবাদেশে রাণীর হাতের সোনার কঙ্কন দিয়ে তৈরি হয়েছিল মায়ের বিগ্রহ, তাই চিল্কিগড় রাজ পরিবারের কুলদেবী মায়ের নাম কনকদুর্গা। চিল্কিগড়ের রাজপরিবারের কুলদেবীর পুজোতেও নিয়মও রয়েছে অনেক। তাই এই পুজা আর পাঁচটা পুজোর  থেকে একদমই আলাদা। এক পাশে বয়ে গিয়েছে ডুলুং নদী। তিন দিক ঘেরা ভেষজ গাছের জঙ্গল। আর তারই মাঝে মা কণকদুর্গার মন্দির। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, দেবীর স্বপ্নাদেশ অনুসারে তন্ত্র মতেই পুজো হয় মায়ের। মায়ের ভোগও নিবেদন হয় প্রাচীন রীতি মেনেই। অষ্টমীর মধ্যরাতে হয় নিশি বলি। আর সেই বলির মাংস রান্না হয় প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে, শুদ্ধাচারে প্রাচীন রাজপরিবারের রীতি মেনেই। মায়ের মন্দিরে সেদিন তিলধারণের জায়গা থাকে না। গোটা মন্দির চত্ত্বর জুড়ে মেলা বসে। তন্ত্র মতে পুজা হয় এখানে। 
মায়ের ভোগেও আছে অভিনবত্ব। নবমীর দিন মোষ বলিও হয়। গোটা মন্দির চত্ত্বর জুড়ে মেলা বসে। আগে রাজবাড়ি থেকে পুজোর ঘট আসতো। পুজো শুরু হয় মহালয়ার পর থেকে। দশমীর পর পাশেই বয়ে যাওয়া ডুলুং নদীতে ঘট বিসর্জন দেওয়া হয়। তিনদিকে জঙ্গল, এক পাশে বয়ে গেছে ডুলুং নদী। তারই মাঝে তৈরী হয়েছে এই মন্দির। কথিত আছে মা কনকদূর্গা রাজা, রানী, স্যাকরা, পুরহিত সকলকে একসঙ্গে স্বপ্নাদেশ দেন। সেই মত রানির হাতে সোনার কঙ্গন দিয়ে মূর্তি তৈরি হয়েছে বলে নাম কনক দূর্গা। মায়ের নির্দেশ অনুযায়ী রানীর হাতের কঙ্গন দিয়ে অশ্বারোহী চতুর্ভুজা দেবী মূতী তৈরী করেন স্যাকরা। 

আরও পড়ুন : Durga Puja 2022 : তিনি বৃহন্নলা, তো! তাঁর হাতেই চিন্ময়ী সেজে ওঠেন মৃন্ময়ীরূপে

মায়ের নিত্য ভোগে সকালের টিফিনে হাঁসের ডিম বাধ্যতামূলক। দুপুরে মাছের ঝোল দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। দূর্গাপুজার সময়ও তার অন্যথা হয় না। অষ্টমির রাতে নিশি বলি হয়। ঐ মাংস বিশেষ পদ্ধতিতে রান্না করে নবমীর দুপুরে মাকে ভোগে দেওয়া হয়। তাকে বিরাম ভোগ বলে। কথিত আছে, মায়ের নির্দেশানুযায়ী পুজারীর বংশ পরম্পরায় আজও একইভাবে নির্দেশ পালন করে চলেছে। জাগ্রত দেবী কণকদূর্গা মাকে পুজো দিতে শুধু এ রাজ্যই নয়, পার্শ্ববর্তী রাজ্য সহ দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা আসে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.