Durga Puja 2023: ২০০ বছরের 'বুড়ি মা' সারিয়ে দেয় সব রোগ! পুজো ঘিরে উৎসব ৪ দিনের
জামালপুরের গুইরাম ভট্টাচার্য বুড়িমার মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নবমীর দিন কয়েক হাজার ভক্তের জন্য ভোগ রান্না হয়।
বিধান সরকার: কোনও মাদুলি তাবিজ না, মাকে ভক্তি ভরে ডাকলে, মায়ের স্মরণ নিলেই রোগ ব্যধি সেরে যায়। এমনই বিশ্বাস। গুড়াপের মহিষ গড়িয়া পল্লি উন্নয়ন সমিতির "বুড়ি মা" র পুজোকে ঘিরে। ২০০ বছরের প্রাচীন পুজো। গ্রামের এই পুজোকে ঘিরে ৪টে দিন উৎসব হয়।
মানুষের বিশ্বাস জাগ্রত 'বুড়ি মা'-র কাছে মানত করলে ফল মেলে। তাই প্রতি বছর মানসিকের ধুম লাগে। মহা নবমীতে মানসিক পূরণে দণ্ডি কাটারও চল আছে। ছাগ বলির প্রথাও প্রচলি আছে। স্থানীয় পুকুরে স্নান করে পুজো দালান পর্যন্ত হয় দণ্ডি কাটা। উপচে পড়ে ভিড়। দশমীর দিন আতস বাজি পোড়ানো হয়। গ্রামের এই 'বুড়ি মা'-র পুজো দেখতে পরিবারের আত্মীয় পরিচিতরা দূর দূরান্ত থেকেও আসেন। 'বুড়ি মা'-র পুজোকে ঘিরে আনন্দে মেতে ওঠেন সবাই।
মায়ের আশীর্বাদে দুরারোগ্য ব্যধি সেরে যায়। এমনই জনশ্রুতি। যে কারণে বর্ধমান, আসানসোল, কলকাতা থেকেও মায়ের ভক্তরা আসেন আশীর্বাদ নিতে। শোনা যায় জামালপুরের গুইরাম ভট্টাচার্য বুড়িমার মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নবমীর দিন কয়েক হাজার ভক্তের জন্য ভোগ রান্না হয়। বুড়িমার মন্দিরটি প্রায় ভগ্ন দশা হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি পল্লি উন্নয়ন সমিতি মানুষের সাহায্য নিয়ে সেটিকে নতুন করে সংস্কার করে।
আরও পড়ুন, Durga Puja 2023 Weather: পুজোর সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী কেমন থাকবে আকাশ? স্পষ্ট জানাল হাওয়া অফিস!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)