জলসঙ্কট অব্যাহত, দুর্গাপুরে বিকল্প পদ্ধতিতে চলছে মেরামতি
শহরের জলসঙ্কট মেটাতে আসানসোল নগর নিগম, কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ ও এসার সার কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আনা হচ্ছে শ'খানেক জলের ট্যাঙ্কার। পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে শহরজুড়ে ট্যাঙ্কারে করে জল সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে দু্র্গাপুর প্রশাসন।
নিজস্ব প্রতিনিধি : আজও মিটছে না দুর্গাপুর শহরের জলসঙ্কট। এই মুহূর্তে বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করে দ্রুত গতিতে চলেছে দুর্গাপুর ব্যারাজের লকগেট মেরামতির কাজ। তবে মেরামতির কাজ শেষ হতে হতে বিকেল হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে, সন্ধ্যার আগে পানীয় জল পরিষেবা চালু করা যাবে না, এমনটাই মনে করছে প্রশাসন। শহরের জলসঙ্কট মেটাতে আসানসোল নগর নিগম, কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ ও এসার সার কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আনা হচ্ছে শ'খানেক জলের ট্যাঙ্কার। পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে শহরজুড়ে ট্যাঙ্কারে করে জল সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে দু্র্গাপুর প্রশাসন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোরে ভেঙে যায় দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর লকগেট। ভাঙা অংশ দিয়ে হু হু করে বেরিয়ে যেতে থাকে জল। ক্রেন এনে মেরামতির কাজ শুরু হলেও, ক্রেনের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় ব্যাহত হয় মেরামতির কাজ। এরপর বালির বস্তা দিয়ে জল আটকে রেখে লকগেট মেরামতির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। অতঃপর বিকল্প পদ্ধতিতে লকগেট মেরামতির চেষ্টা করা হচ্ছে। একনম্বর লোহার গেটের সামনে বসানো হবে একটি ভাসমান আপত্কালীন গেট। যা জলকে আটকে রাখবে। সেই সুযোগে লোহার পাত দিয়ে 'সিল' করা হবে লকগেটের ভাঙা অংশ।
স্বাভাবিক অবস্থায় দুর্গাপুর ব্যারাজে জলস্তরের মাত্রা থাকে ২১১.৫ একর ফিট। বর্তমানে সেই ব্যারাজ জলশূন্য। শনিবার সন্ধ্যায় মাইথন জলাধার থেকে এক হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। একটু একটু করে বাড়ানো হবে জল ছাড়ার পরিমাণ। দুর্গাপুর দামোদর ব্যারাজে ১৪ ফুটের ওপর জল উঠলে তবেই ফিডার ক্যানালে জল আসবে। আর তারপরই পানীয় জল পরিষেবা চালু করা যাবে। এদিকে লকগেটে বিপত্তির জেরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দুর্গাপুর ব্যারেজের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে।
আরও পড়ুন, জাঁকিয়ে ঠান্ডা, কলকাতায় আজ শীতলতম দিন