Duttapukur Blast: 'দত্তপুকুরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, আরডিএক্স ব্যবহার হয়েছে!'
'মালিক ও মালিকপুত্র তৃণমূলের লোক। দোকান পিছু আইসি ও মন্ত্রী ৫০ হাজার করে তোলা তুলতেন। ৬টা বাজি কারখানা থেকে ৫০ হাজার করে তোলা তোলে। আইসি ও মন্ত্রী অর্ধেক-অর্ধেক করে নেয়।'
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দত্তপুকুর বিস্ফোরণের আঁচ বিধানসভায়। অধিবেশন বসতেই স্লোগান দিতে শুরু করে বিজেপি। শেষে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করে বিজেপি। দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তোপ দাগলেন, 'এত বড় অসংবেদনশীল সরকার আগে দেখেনি কেউ।' পাশাপাশি, শুভেন্দুর দাবি, 'আরডিএক্স ব্যবহার হয়েছে।' আর সেই কারণেই বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এত তীব্র। বিস্ফোরণের অভিঘাত এত মারাত্মক!
বিজেপি ওয়াক আউট করার পর বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী কোনও কলিং অ্যাটেনশনে অংশ নেন না। যে ধরনের ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে, কংক্রিটের ছাদ উড়ে গিয়েছে। আমরা মুলতুবি প্রস্তাব আনলাম। ভেবেছিলাম, বিধানসভায় এসে বিবৃতি দেবেন। হয়তো দ্বিতীয়ার্ধে তিনি আসবেন বনমহোৎসবে অংশ নিতে! মুখ্যমন্ত্রী নেই, তাই পরিষদীয় মন্ত্রীর বিবৃতি চেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এসওপি তৈরি করেছি, আর হবে না।'
শুভেন্দু দাবি করেছেন,'আরডিএক্স ব্যবহার হয়েছে। মালিক ও মালিকপুত্র তৃণমূলের লোক। দোকান পিছু আইসি ও মন্ত্রী ৫০ হাজার করে তোলা তুলতেন। ৬টা বাজি কারখানা থেকে ৫০ হাজার করে তোলা তোলে। আইসি ও মন্ত্রী অর্ধেক-অর্ধেক করে নেয়। যে ধরা পড়েছে, সে জাকির হোসেনের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত।' দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করে বিজেপি। শুভেন্দু আরও জানান, দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তাঁরা। তিনি বলেন,'কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি এনআইএ দিতে পারে না। তাই হাইকোর্টে আবেদন করেছি।'
বিধানসভায় ওয়াক আউট করার পর বনমহোৎসবেও বিজেপি থাকবে না বলে জানান তিনি। বদলে তারা বিধানসভা থেকেই সোজা দত্তপুকুর যাবেন। প্রসঙ্গত, রবিবারের দুপুরে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রাম। বিস্ফোরণের ২১ ঘণ্টা পরেও দত্তপুকুরকাণ্ডে উদ্ধার হয়েছে ছিন্নভিন্ন হাত-মুণ্ডু! ঘটনাস্থল থেকে ৮০ মিটারের মধ্যে উদ্ধার হয়েছে হাত। এক প্রতিবেশীর বাঁশ বাগানের পাশে পড়ে মুণ্ডু। পুকুরে ভাসছে দেহ। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই ছিল যে কয়েকশো মিটার দূরে ছিটকে পড়ে দেহাংশ!
ইতিমধ্যেই বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার করেছে পুলিস। বিস্ফোরণের ঘটনায় নীলগঞ্জ থেকে সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃত সফিকুল ইসলাম কেরামতের পার্টনার হিসেবেই পরিচিত। কেরামতের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ইনি। এর পাশাপাশি, মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৮৬, ৩০৪, ৩০৮, ৩৪, ৯বি দ্য এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্ট, ২৪/২৬ ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্টে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন, Duttapukur Blast: 'রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছি' বলে বাজি কারখানায়, ছেলের মৃত্যুসংবাদে সত্যিটা জানল মা!
Duttapukur Blast: দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের পিছনে ২ কারণ! কেন এত ব্যাপক অভিঘাত?