Duttapukur Local: সাতসকালে বিকট শব্দ, চালকের তত্পরতায় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল দত্তপুকুর লোকাল
রবিবার সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বামনগাছি(Bamongachi) স্টেশন ছেড়ে বারাসতে আসার সময়ে লাইনে প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পান ট্রেনচালক
নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তরবঙ্গের ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আর একটি দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল শিয়ালদহ শাখার লোকাল ট্রেন। ময়নাগুড়ি-দোমহানিতে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্ত চলছে। আর মধ্যেই রবিবার সাতসকালে লাইনের গন্ডগোলে কোনওক্রমে বাঁচল ডাউন দত্তপুকুর লোকাল(Duttapukur Local)।
রবিবার সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বামনগাছি(Bamongachi) স্টেশন ছেড়ে বারাসতে আসার সময়ে লাইনে প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পান ট্রেনচালক। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তা জানান কন্ট্রালরুমকে। বিকট ওই শব্দ শুনে লাইনের পাশে থাকা মানুষরাও বাইরে বেরিয়ে আসেন। পরে রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে দেখেন লাইনের ফিসপ্লেট ভাঙা। তড়িঘড়ি সেই ফিসপ্লেট বদল নতুন ফিসপ্লেট লাগানো হয়। চালিয়ে দেখা হয় টাওয়ার ভ্যান। ওই সমস্যার ফলে ওই লাইনে সকালে ট্রেনের সময়সূচি বদল করতে হয়। এনিয়ে পূর্বরেলের সিপিআরও একলব্য চক্রবর্তী বলেন, লাইনে কিছু সমস্য়া থাকায় সকালে দত্তপুকুর লোকাল দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। এর জন্য মিনিট দশেক ট্রেন চলাচল ব্যহত হয়। তারপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বিকট কোনও শব্দ পাওয়া গিয়েছে বলে কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই।
আরও পড়ুন-আদালতে হারলেন, জোকারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলার আশা শেষ
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের(Bikaner-Guwahati Express) দুর্ঘটনায় এখনওপর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্য়া নিয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে। শুক্রবার সকালে রেলমন্ত্রী স্বয়ং জানিয়েছেন ৩৬ জন আহত হয়েছেন। বিকেলে রেলের তরফে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেও ৩৬ জন আহতের নাম প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার সকালে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার ডাক্তার গয়ারাম নস্কর অন্য তথ্য দেন। তিনি জানান, বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস (Bikaner-Guwahati Express) দুর্ঘটনায় ৪২ জন আহত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ৩৬ জন জলপাইগুড়ি জেলায় এবং ৬ জন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে(NB Medical College) চিকিৎসাধীন। এমনকী বিকেলে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুও রেল দুর্ঘটনায় আহতদের ৪৪ জনের নাম প্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে রেল দুর্ঘটনায় আহতদের সংখ্যা নিয়ে একটা চাপানউতোর দেখা দিয়েছে৷
ওই দুর্ঘটনায় চালক এবং কো-পাইলটের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। এক পরিবারের তরফে অনিচ্ছাকৃত খুন, প্রবল গতিতে ট্রেন চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪, ২৭৯, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।