Chandannagar Hospital: প্রসূতি বিভাগে ইতিউতি ঘুরছেন প্রৌঢ়া, জিজ্ঞাসা করতেই বললেন একটা বাচ্চা চাই
আয়ারা ওই প্রৌঢ়াকে সেকথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে নেই বলে স্বামী অত্যাচার করে। তাই ছেলে নিতে হাসপাতালে এসেছেন। ওঁর কথা শুনে মনে হচ্ছে উনি মানসিকভাবে অসুস্থ্
বিধান সরকার: চন্দননগর হাসপাতালে প্রবল হইচই। হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে ঢুকে এক প্রৌঢ়ার দাবি তাঁর একটি শিশু চাই। তাঁকে ধরে জিজ্ঞাসবাদ শুরু করেন হাসপাতালকর্মীরা। শুরু হয়ে যায় হইচই। খবর গেল পুলিসে।
আরও পড়ুন-ঘর ভাঙছে দিদি, অ্যাসিড ছুড়ে 'শিক্ষা' দিল ছোট বোন
শনিবার প্রসূতি বিভাগে ওই প্রৌঢ়া ঢুকতেই তাঁকে হাসপাতাল কর্মীরা জিজ্ঞাসা করেন তিনি কার বাড়ির লোক। তিনি নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। অনেক জেরার পর তিনি জানান তাঁর একটি বাচ্চা চাই। কথায় অসংলগ্নতা দেখে তাঁকে প্রসূতি বিভাগের বাইরে আনেন আয়ারা। হাসপাতালে রটে যায় শিশুচোর ধরা পড়েছে।
জেরায় প্রৌঢ়া জানান তাঁর নাম মালা বোস। বাড়ি চন্দননগরের নাড়ুয়া সরকার পাড়ায়। কিছুক্ষণ পরে ফের জিজ্ঞাসা করতেই অন্য নাম ঠিকানা বলেন। পাখি কর নামে এক আয়া বলেন, ভিজিটিং আওয়ারে ওই প্রৌঢ়া হাসপাতালে ঢুকে পড়েন। ভেতরে এসে ওয়ার্ডে ঘোরাঘুরি করছিলেন। আমরা জিজ্ঞাসা করতে তিনি বলেন, তাঁর একটি বাচ্চা চাই। ভাগ্যিস কোনও বাচ্চাকে তুলে নেয়নি! কোনওভাবে বুঝিয়ে ওকে বাইরে বের করি।
কেন বাচ্চা চাই? আয়ারা ওই প্রৌঢ়াকে সেকথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে নেই বলে স্বামী অত্যাচার করে। তাই ছেলে নিতে হাসপাতালে এসেছেন। ওঁর কথা শুনে মনে হচ্ছে উনি মানসিকভাবে অসুস্থ্।
এদিকে, খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন ওই প্রৌঢ়ার স্বামী। তিনি এসে বলেন, স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ। চিকিত্সা চলছে। মাঝে মধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে এমন কাণ্ড করে বসেন।