WB Panchayat Election 2023: স্কুলে চাকরি করেন; ডিউটিও পড়েছে, ইডি ভোট দিতে গিয়ে তাজ্জব শিক্ষক
WB Panchayat Election 2023: বিশ্বজিৎ এর দাবি এইসব সমস্ত প্রশাসনিক দপ্তরের আধিকারিকদের করা হলেও, তাকে জানানো হয় আপনি ভোট দিতে পারবেন না। কিন্তু আপনি ভোটকর্মী হিসেবে কাজ করতে পারবেন। পুরো ঘটনায় হতাশ বিশ্বজিৎ
চম্পক দত্ত: আগাম ভোট দিতে গিয়ে তাজ্জব ভোটকর্মী। ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই। তিনি নাকি মৃত। অথচ তিনি স্কুলে চাকরি করেন। এবার পঞ্চায়েত ভোটে ডিউটিও পড়েছে। ভোটার তালিকা থেকে উধাও নাম, ঘটনার কথা ব্লক প্রশাসন জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। উল্টে ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে কোনও ভাবেই তিনি ভোট দিতে পারবেন না। কিন্তু ভোট কর্মী হিসেবে কাজ করতে পারবেন। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন-ইডিতে যাচ্ছেন না সায়নী, মেইলে পাঠালেন ৫৩০ পাতার নথি!
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ২ ব্লকের জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ জানা। পেশায় শিক্ষক। বিশ্বজিৎ জানা-র বিস্ফোরক দাবি, তিনি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক জন ভোটকর্মী। ভোট নিতে যাবেন। তাই নির্বাচন কমিশনের ট্রেনিং থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু, কাজ সম্পন্ন করে, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ, দাসপুর দুই ব্লকের বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন ইডি ভোট দিতে। ভোট দিতে গিয়ে হতভাগ বিশ্বজিৎ। তিনি দেখলেন ভোটার তালিকায় তার নেই নাম। কিন্তু কেন নেই নাম?
এলাকার বিএলও(BLO) থেকে শুরু করে প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাতিল হয়েছে(মানুষ মৃত হলেই সাধারণত ভোটার তালিকা থেকে নাম বাতিল হয়)।
কিন্তু বিশ্বজিৎ জীবিত। চাকরি করেন। তার নাম কীভাবে বাতিল হল! বিশ্বজিৎ এর দাবি এইসব সমস্ত প্রশাসনিক দপ্তরের আধিকারিকদের করা হলেও, তাকে জানানো হয় আপনি ভোট দিতে পারবেন না। কিন্তু আপনি ভোটকর্মী হিসেবে কাজ করতে পারবেন। পুরো ঘটনায় হতাশ বিশ্বজিৎ।
বিরক্ত বিশ্বজিত্ বলেন, ঝাড়গ্রামের এক স্কুলে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষকতা করি। গতকাল স্কুলে ছুটি নিয়ে ইডি ভোট দিতে এসেছিলাম। ভোট দেওয়ার জন্য ফর্মও ভর্তি করি। এরপর আমার এপিক কার্ড দেখে তথ্য মেলাতে গিয়ে দেখা গেল তথ্য় মিলছে না। এরপর ভোটার তালিকা মেলাতে গিয়ে দেখা গেল আমার নামটা ডিলিটেড দেখাচ্ছে। কীভাবে নাম বাদ পড়ল জানার চেষ্টা করলাম। আমাকে জিজ্ঞাসা করা হল আমি কি নামধামে কোনও কারেকশন করেছি? আমি জানালাম না। কারণ আমার এপিক কার্ডে কোনও ভুল নেই। তাই সংশোধনের কোনও কারণও নেই। কিন্তু বিএলও জানিয়ে দিলেন আমি ভোট দিতে পারব না। উনি আমাকে পাঠালেন এআরও-র কাছে। উনি আমার একটা ফটো নিলেন। উনিও জানালেন আমি ভোট দিতে পারব না। আপনি বিডিও সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। বিডিও ব্যস্ত ছিলেন তাই জয়েন্ট বিডিওর সঙ্গে দেখা করলাম। উনি আমাকে বললেন, ভোটার লিস্ট দেখে আসেননি কেন? সাধারণ মানুষ ভোটার লিস্ট দেখে ভোট দিতে যাবে? এটা কি সম্ভব? ভোটার লিস্টের ৮ নম্বর পাতায় আমাদের পরিবারের লোকজনের নাম রয়েছে। সেখানে আমার ঠাকুমার নাম নেই। কারণ তিনি মারা গিয়েছেন। পরের পাতায় আমার বাবা-কাকার নামের সঙ্গে আমার নাম থাকলেও তা ডিলিটেড দেখাচ্ছে। কিন্তু আমার ভোটের ডিউটি রয়েছে।
বিএলও নির্মল কুমার মাঝি বলেন, এখন ভোটার তালিকার বিষয়টি হচ্ছে অনলাইনে। যে কেউ এটা করতে পারে। সেটা করতে গিয়ে কারও ভুলেই হয়তো এজিনিস হয়েছে। এবছর উনি ভোট দিতে পারবেন না। ভোটে শেষ। হলে ওঁকে নতুন করে নাম লেখাতে হবে।