মথুরায় মা-মেয়ের মৃত্যুতে রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিল দুর্গাপুরের ডোম পরিবার
মথুরায় ট্রেনে ছিনতাইকারীদের হাতে মা ও মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনল মৃতের পরিবার।
নিজস্ব প্রতিবেদন : শনিবার উত্তরপ্রদেশের মথুরায় ট্রেনে ছিনতাইকারীদের হাতে মা ও মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনল মৃতের পরিবার। সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের বিরুদ্ধেও ধিক্কারে সামিল হল দুর্গাপুরের রাঁচি কলোনির বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন : যোগীর রাজ্যে চলন্ত ট্রেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা মা-মেয়েকে ফেলে খুন করল ছিনতাইকারীরা
দুর্গাপুরের রাঁচি কলোনিতে থাকতেন মীনা দেবী ও তাঁর মেয়ে মনীষা কুমারী। ট্রেনে করে রাজস্থানের কোটাতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। উদ্দেশ্য মনীষাকে সেখনকার মেডিক্যাল এন্ট্রান্সের কোচিংয়ে ভর্তি করা। স্ত্রী ও মেয়ের আকষ্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন দিলীপ ডোম। পাশাপাশি রেলের বিরুদ্ধে চরম অসহযোগিতারও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি জানান, এদিন দুপুর ১টায় দূর্গাপুর স্টেশন পৌঁছয় দেহ। কিন্তু, তার পরেও দেহ পায়নি পরিবার। অভিযোগ, নথিপত্র আসতে প্রায় তিন ঘণ্টাও বেশি দেরি হয়। স্টেশনের পার্সেল বিভাগেই পড়ে থাকে দেহ। প্রায় চার ঘণ্টা পর দেহ পৌঁছয় পরিবারের কাছে।
শনিবার উত্তরপ্রদেশের মথুরার কাছে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন মা-মেয়ে। ছিনতাইকারীরা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে গেলে বাধা দেন মা। তাঁকে ট্রেন থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় ছিনতাইকারীরা। মাকে বাঁচাতে গিয়ে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন মেয়ে মনীষাও।
আরও পড়ুন : বন্যায় বিপর্যস্ত মুম্বই-পুনে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় লাল সতর্কবার্তা প্রশাসনের
মেধাবী ছাত্রী ও তার মায়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দূর্গাপুরের রাঁচি কলোনির পাড়া। রেল পুলিসের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। মৃতদের বাড়িতে পোস্টার টাঙিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয় পরিবার। পরিবারের একজনের চাকরির ক্ষতিপূরণের দাবি উঠেছে। ট্রেনে রেল পুলিসের কোনও জওয়ান ছিল না কেন তা নিয়েও ওঠছে প্রশ্ন। তবে, রেল পুলিসের দাবি, ছিনতাইকারীদের ধাক্কায় নয়, লাফ দেওয়াতেই মৃত্যু হয়েছে মা ও মেয়ের। তবে সে কথা মানতে নারাজ মৃতের পরিবার। দেহ পেতে দেরি হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল বলেন, "মথুরাতে দুর্ঘটনা হয়েছে। পরিবার কি সেখানে গিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট ও এফআইআর নেবে?"