Bankura: বছরের পর বছর ধরে গুদামে পড়ে নষ্ট হচ্ছে কয়েকশো বস্তা জৈব সার, ক্ষোভ চাষিদের মধ্যে...

Bankura: বাঁকুড়া জেলায় আলু বসানোর ভরা মরসুম এখন। এ মরসুমে চাহিদার তুলনায় সারের জোগান কম থাকে। আর দাবি, এই মরসুমেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে সারের ব্যাপক কালোবাজারি।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাঁকুড়া জেলায় আলু বসানোর ভরা মরসুম এখন। এ মরসুমে চাহিদার তুলনায় সারের জোগান কম থাকে। আর দাবি, এই মরসুমেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে সারের ব্যাপক কালোবাজারি। বাজারে যখন এমন পরিস্থিতি, তখন পঞ্চায়েতের গুদামে ৪ বছর ধরে পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে সরকারিভাবে সরবরাহ করা শতাধিক বস্তা জৈব সার। ঘটনা বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের বৃন্দাবনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের।  ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে বাঁকুড়া জেলা পরিষদ। 

বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া ব্লকের বৃন্দাবনপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যাপক হারে আলু চাষ হয়। আর চাষিদের দাবি, প্রায় প্রতি বছরই আলু বসানোর এই মরসুমে তাঁদের পড়তে হয় সারের কালোবাজারির মুখে। কালোবাজারে চড়া দরে রাসায়নিক ও জৈব সার কিনে তবে আলু বসানোর কাজ করতে পারেন কৃষকেরা। 

এ বছরও এর অন্যথা হয়নি বলে অভিযোগ। আলু বসানোর মরসুমে এক বস্তা সার জোগাড় করতে এলাকার চাষিদের ঘাম ছুটছে। আর এই যখন অবস্থা তখন পঞ্চায়েতের গুদামে বছরের পর বছর ধরে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে প্রায় শতাধিক বস্তা জৈব সার। সরকারি ভাবে সরবরাহ করা ওই সার চাষিদের মধ্যে বিতরণের জন্য বারবার আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। কিন্তু চাষিদের আবেদনে কর্ণপাত না করার অভিযোগ উঠেছে গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ক্ষুব্ধ চাষিদের দাবি, পঞ্চায়েতের আগের বোর্ডের হয়তো ইচ্ছা ছিল ওই বিপুল পরিমাণ সার জমিয়ে রেখে পরে তা পাচার করার। বোর্ড বদল হওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি। 

বর্তমানে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন বোর্ড গঠনের পরে ওই সার নিয়ে কী করা হবে, তা নিয়ে বারেবারে প্রশাসনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন সে ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেনি। এদিকে ওই সার একশো দিনের কাজের প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ থাকায় কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করাও সম্ভব হয়নি। তবে বাঁকুড়া জেলা পরিষদ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে।