মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে CAA–র বিরোধিতাও করেছেন দলনেত্রী, টুইটে ব্যাখ্যা ফিরহাদের

এদিন বামেদের সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের পাশাপাশি বিক্ষোভের আয়োজন করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মুখ্যমন্ত্রী একদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। অন্যদিকে তেমনি রানী রাসমনি রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধরনাতেও এসেছেন

Updated By: Jan 12, 2020, 10:36 PM IST
মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে CAA–র বিরোধিতাও করেছেন দলনেত্রী, টুইটে ব্যাখ্যা ফিরহাদের

নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব আইন ও  নাগরিকপঞ্জীর বিরোধিতা করে আসছে রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে বিরোধীদেরও সুর একই। এরকম এক আবহে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।  কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিকে যেমন যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামের মধ্যে থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তেমনই বিরোধিতাও করেছেন। টুইট করে এমনটাই দাবি করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

আরও পড়ুন-দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় আচমকা বিস্ফোরণ, ঝলসে গেলেন ৫ জন

উল্লেখ্য, শনিবার বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এদিন রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে একদিকে যেমন সিএএ ও এনআরসির বিরোধিতা করেন তেমনি রাজ্যের বকেয়া নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে জানান।

ফিরহাদ হাকিম টুইট করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী একদিকে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের সম্পর্কের সম্মান দিয়েছেন। অন্যদিকে, তেমনি সিএএ ও এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভে যোগও দিয়েছেন।  গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালন করার পরও কীভাবে গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করা যায় তা দেখিয়ে দিয়েছেন আমাদের নেত্রী।

প্রসঙ্গত, এদিন বামেদের সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের পাশাপাশি বিক্ষোভের আয়োজন করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মুখ্যমন্ত্রী একদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। অন্যদিকে তেমনি রানী রাসমনি রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধরনাতেও এসেছেন। সেখানে বাম ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিল ঘুরে যায় রাসমনি রোডে তৃণমূলের দিকে। শুরু হয় প্রবল হট্টগোলে। খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যায় মমতা।

আরও পড়ুন-কোচবিহারের শীতলকুচি যাওয়ার পথে গ্রেফতার বিজেপি নেতা সায়ান্তন বসু, তোলপাড় এলাকা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন,''আমরা নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ করে আনিনি। উনি রাস্তাঘাটেও যাতায়াত করেননি। প্লেনে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী আসেন, রাষ্ট্রপতি আসেন, তখন দেখা করতে যেতে হয়। দিতে হয় মিনিস্টার ইন ওয়েটিং। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ওদের গন্ডগোল। ফিরহাদ হাকিমকে পাঠিয়েছিলাম। মিলেনিয়াম পার্কের সামনে ১ লক্ষ লোক আটকে ছিল। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রাস্তা খোলানোর ব্যবস্থা করেছি। ৪টে অনুষ্ঠানে ডেকেছিল। একটায় গিয়েছি। রাজ্যের ৩৮ হাজার কোটি টাকা বকেয়া। আমি গিয়ে বলে এসেছি, এনপিআর মানব না, ক্যাব মানব না। আমি যখন শুনেছি গন্ডগোল হচ্ছে, তখন চলে এলাম। সেপ্টেম্বরেই প্রস্তাব এনেছিলাম, এনআরসি, এনপিআর, সিএএ মানব না।''

 

.