প্রশাসনিক গাফিলতি, শীতে ঝাড়গ্রামের গ্রাম ভাসল 'ম্যান মেড বন্যা'য়
কংসাবতী খালের লকগেট মেরামতির কাজ চলছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভরা শীতে জলমগ্ন আস্ত গ্রাম। বর্ষাকালে যেমনটা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে উঠেই গ্রামবাসীরা দেখেন বাড়ির ভিতরে পর্যন্ত ঢুকে পড়েছে জল। ভাসছে উঠোন। রাস্তায় নদীর স্রোতের মতো ছুটছে জল। শীতে বর্ষার প্লাবন দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায় ঝাড়গ্রামের রাধানগর গ্রামপঞ্চায়েতের জমিদারডাঙ্গা গ্রামে।
জমিদারডাঙ্গা গ্রামে থাকে ৫০ থেকে ৫৫টি আদিবাসী পরিবার। ঘুমের ঘোর কেটে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বৃহস্পতিবার জলমগ্ন হয়ে যায় গোটা গ্রাম। জলের তোড়ে ভেসে যায় গৃহপালিত পশুরাও।
কেন অসময়ে বন্যা?
জমিদারডাঙ্গা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলে গিয়েছে কংসাবতী খাল। আর কংসাবতী ক্যানেলে ভোররাতে আচমকা ছেড়ে দেওয়া হয় জল। জমিদারডাঙ্গা গ্রামের কাছেই কংসাবতী খালের লকগেট মেরামতির কাজ চলছিল। সে কারণে চারটির মধ্যে তিনটি লকগেট বন্ধ থাকলেও খোলা ছিল একটি। ওই খোলা লকগেট দিয়ে ঢুকে পড়ে গ্রামে হু হু করে ঢোকে জল। তাতেই ঘটে বিপত্তি।
জানা গিয়েছে, মেরামতির বরাত পাওয়া ঠিকাদারি সংস্থাকে বুধবার রাতে বাঁকুড়া খাতড়া মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ থেকে জল ছাড়ার কথা জানানো হয়। তবে তা খুব কম পরিমাণে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অল্প পরিমাণে জল ছাড়ার কথা বললেও তা ছাপিয়ে গিয়েছে নির্দিষ্ট সীমা। উল্লেখ্য, বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়া হয় কংসাবতী খালে।
দায় কার?
কংসাবতী খালের লক গেট মেরামতির দায়িত্বে থাকা নির্মাণকারী সংস্থার আধিকারিক আজগর আলি কাঠগড়ায় তুলেছেন খাতড়া মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের। তাঁর কথায়, ''অল্পমাত্রা জল ছাড়া হবে বলা হয়েছিল। আমরা বলেছিলাম, মেরামতির কাজ চলছে। তাতে কোনও অসুবিধা হবে না বলে জানায় ওরা। এদিকে ভোরে গ্রাম ভেসে গিয়েছে।''
আরও পড়়ুন- সুভাষ তুমি কার? বিরাট দেশপ্রেমিক প্রমাণে দিনভর চেষ্টায় বিজেপি, তৃণমূল ও সিপিএম