Shymaprasad Mukerjee Gets Bail: বিপুল টাকা দুর্নীতির দায়ে জেল, টানা ৪২১ দিন পর জামিনে মুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী
দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ হাতে পেতেই প্রাক্তন মন্ত্রীকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বিষ্ণুপুর থানার পুলিস। প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৪২০ ধারায় প্রতারনা, ৪০৬ ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ ও ৪০৯ ধারায় পদে থেকে সরকারি অর্থ তছরুপের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিস
মৃত্যুঞ্জয় দাস: বিপুল টাকা তছরুপের দায়ে এক বছরেরও বেশি সময়ে আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন বস্ত্র ও আবাসন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। টানা ৪২১ দিন পর আজ বুধবার বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে ১০ কোটির বেশি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। বিষ্ণুপুর পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি ও টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে গতবছর ২২ আগস্ট শ্যামাপ্রসাদকে গ্রেফতার করে পিষ্ণুপুর থানার পুলিস। তারপর থেকে জেলেই ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ, গ্রেফতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পুরসভায় ১৯৯০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত একটানা ৩০ বছর পুরপ্রধান পদে ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। প্রথমে কংগ্রেসের পুরপ্রধান থাকলেও ২০০৯ সালে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১১ সালে তৃণমূলের টিকিটে বিষ্ণুপুর বিধানসভা থেকে জয়ী হয়ে রাজ্যের আবাসন মন্ত্রী হন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। পরবর্তীতে তিনি শিশু কল্যাণ দফতর ও বস্ত্র দফতরের দায়িত্বও পান। ২০১৬ সালে একই বিধানসভা থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দিতা করলেও তিনি আর জিততে পারেননি। কিন্তু বিষ্ণুপুর পুরসভার পুরপ্রধান পদে তিনি থেকে গিয়েছিলেন ২০২০ সাল পর্যন্ত। এদিকে, আচমকাই ২০২০ সালে শ্যামাপ্রসাদ বিজেপিতে যোগ দেন।
২০২১ সালে বিষ্ণুপুর পুরসভার মোট ৫৫টি সরকারি প্রকল্পে টেন্ডার দুর্নীতি ও সরকারি সম্পত্তি নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সে সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রমাণ হাতে পেতেই ২০২১ সালের ২২ আগস্ট প্রাক্তন মন্ত্রীকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বিষ্ণুপুর থানার পুলিস। প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৪২০ ধারায় প্রতারনা, ৪০৬ ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ ও ৪০৯ ধারায় পদে থেকে সরকারি অর্থ তছরুপের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিস। সেই সময় থেকেই শ্যামাপ্রসাদ জেলেই ছিলেন।
গত ১৭ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্ট শ্যামাপ্রসাদের শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে। জামিনের শর্ত হিসাবে শ্যামাপ্রসাদ পুলিসের অনুমতি ছাড়া বাঁকুড়া জেলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে পারবেন না। নিজের পাসপোর্ট থাকলে তা আদালতের কাছে জমা রাখতে হবে। পাসপোর্ট না থাকলে এফিডেভিট দিয়ে তা আদালতকে জানাতে হবে। পাশাপাশি দুজনকে জামিনদার হিসাবে রাখতে হবে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে। জামিনদারদের মধ্যে একজনকে স্থানীয় হতে হবে। কলকাতা হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করার পর নথিপত্র সংক্রান্ত কাজে আজ পর্যন্ত বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারেই ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। আজ সন্ধ্যায় বাঁকুড়া সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় প্রাক্তন মন্ত্রীকে।