Rupchand Pal: প্রয়াত হুগলির প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ রূপচাঁদ পাল
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার ভুগছিলেন তিনি। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্য়াগ করলেন সাতবারের সাংসদ।
বিধান সরকার: মাস ছয়েক ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। প্রয়াত হুগলির প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ রূপচাঁদ পাল। আগামিকাল, বুধবার তাঁর দেহ দান করা করা হবে এসএসকেএম।
হুগলির মগরার বাগাটি শ্রী গোপাল ব্যানার্জি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন রূপচাঁদ। পরে যোগ দেন নৈহাটির ঋষি বঙ্কিম কলেজে। বাম-রাজনীতিও করেছেন সমান তালে। শেষপর্যন্ত অধ্যাপনা ছেড়ে পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী হন তিনি। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন ১৯৮০ সালে। ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর ১৯৮৪ সালে লোকসভা ভোটে অবশ্য কংগ্রেস ইন্দুমতি ভট্টাচার্য্যের কাছে হেরে যান রূপচাঁদ। এরপর ১৯৮৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সাত দফায় হুগলির সাংসদ ছিলেন প্রবীণ এই বাম নেতা।
আরও পড়ুন: Uttar Dinajpur: দলের অন্য গোষ্ঠীকে উসকে দেওয়া হচ্ছে, নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক
২০০৯ সালে রূপচাঁদ পালকে হারিয়ে হুগলির সাংসদ হন তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগ। এরপর আর ভোটে দাঁড়াননি সাতবারের সাংসদ। বয়স আশি পেরিয়ে গিয়েছিল। দলীয় সূত্রে খবর, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার ভুগছিলেন রূপচাঁদ পাল। বাড়িতেই চিকিৎসার চলছিল তাঁর। সোমবার গভীর রাতে অসুস্থতা আরও বাড়ে।
আরও পড়ুন: Sukanta Majumder: 'খেলা হবে, ভয়ংকর খেলা হবে', এবার পালটা হুঁশিয়ারি তৃণমূলকে!
এদিন ভোরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হুগলির প্রাক্তন সাংসদকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেব রূপচাঁদ পাল। অকৃতদার ছিলেন তিনি। রাতে কলকাতা থেকে মরদেহ আনা হয় চুঁচুড়ায়। শোকমিছিসলে হাঁটেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম-সহ বাম কর্মী-সমর্থকরা। রাতে মরদেহ রাখা থাকবে কলকাতায় পিস ওয়ার্ল্ডে।