প্রশাসন যদি রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হয় তার ফল ভালো হয় না, সতর্ক করলেন রাজ্যপাল

রাজ্যপাল আরও বলেন, দেশের নিয়মেই বলা হয়েছে, সরকারি কর্মীরা রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতহীন হবেন

নিজস্ব প্রতিবেদন: বেশ কিছুদিন ধরেই এনিয়ে সরব ছিলেন। বুধবার মুর্শিদাবাদে এসেও  রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

বহরমপুরে এক সাংবাদিক বৈঠক করে জগদীপ ধনখড় বলেন, রাজ্য প্রশাসনে রাজনৈতিক পক্ষপাত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটি অত্যন্ত মারাত্মক প্রবণতা।  রাজ্যে এমন এক পরিস্থিতি চলছে যেখানে আপনি যদি সরকারপক্ষের সমর্থক হন তাহলে ঠিক আছে। আর তা না হলে আপানার হাতে হাতকড়া পড়বে।  প্রশাসন এটা করতে পারে না। এটি আইনের শাসনের পরিপন্থী।

অন্যদিকে, নদিয়ার রঘুনাথপুরে শহিদ জওয়ান সুবোধ ঘোষের শেষকৃত্যে বিজেপি সাংসদকে হেনস্থা করার অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেন, জেলায় দুজন মাত্র সাংসদ। সেখানে শাসক দলের সাংসদের জন্য রেড কার্পেট! আর রানাঘাটের বিরোধী সাংসদ জগন্নাথ সরকারের জন্য হেনস্থা!

উল্লেখ্য, রবিবার কাশ্মীরে শহিদ জওয়ান সুবোধ সরকারের শেষকৃত্য হয় তাঁর নদিয়ার রঘুনাথপুরের গ্রামের বাড়িতে। শেষকৃত্যের আগে শহিদ জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এলাকার এক স্কুল মাঠে। অভিযোগ, সেখানে ঢুকতে গিয়ে বাধা পান রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। পুলিসের সঙ্গে কিছুটা বিতর্ক হওয়ার পর তাঁকে অনুষ্ঠানে যেতে দেওয়া হয়।

ওই ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল বলেন, তিরিশ বছর আগে সাংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ছিলাম। আমি জানি একজন সাংসদের সম্মান কতটা। ক্যাবিনেট সেক্রেটারিরা একজন সাংসদের সামনে দাঁডিয়ে তাঁকে সম্মান জানান। আসনে এটা কোনও ব্যক্তিকে সম্মান করা নয়, তিনি লাখো মানুষের প্রতিনিধি। ওইসব মানুষদেরই সম্মান করা হয়।  আর প্রশাসন এখানে একজন সাংসদের সঙ্গে এরকম ব্যবহার করছে!

রাজ্যপাল আরও বলেন, সরকারি কর্মী রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হলে তার পরিণাম ভয়ঙ্কর। দেশের নিয়মেই বলা হয়েছে, সরকারি কর্মীরা রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতহীন হবেন। বারবার বলার পর এরাজ্যে প্রশাসনের কিছু লোক ঠিক হয়েছেন। যারা হননি তাঁরা যা করছেন তা আইনের শাসনের পরিপন্থী।