Rajgunj: কবর খুঁড়ে কেটে নেওয়া হল মৃতদেহের মাথা! সন্দেহের তির স্থানীয় কিশোরীর পরিবারের দিকে
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সমিজুদ্দিন আহমেদ বলেন, শেয়াল বা কুকুরের পক্ষে এভাবে কবরের মাটি ও বাঁশের পাটাতন সরানো সম্ভব নয়। পুনরায় ময়নাতদন্ত হওয়ার ভয়ে কে বা কারা দেহ নিয়ে গিয়েছে। তাই পুলিসের কাছে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করার দাবি করছি
নারায়ণ সিংহ রায়: কবরের ভেতরে থাকা মৃতদেহের মাথা উধাও। এনিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াল দার্জিলিংয়ের রাজগঞ্জ ব্লকের আমবাড়িতে। এই ঘটনার পর মঙ্গলবার পরিবারের পক্ষ থেকে আমবাড়ি ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, দেহ ময়না তদন্ত হওয়ার ভয়ই মাথা কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-পার্থর জামিনের আবেদন খারিজ, শুনানিতে উঠে এল বিদ্যাসাগর প্রসঙ্গ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ ডিসেম্বর ভান্ডারিগছের দুই তরুণ রবিউল ইসলাম ও মুক্তি আজম বাইক নিয়ে মাসির বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিল। রাতে বাড়ি থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে রাস্তার পাশ থেকে দুজনকেই গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দুজনকেই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত দশটা নাগাদ বাড়ি থেকে ফোন করলে রবিউলের বাবা জানতে পারেন তাদের ছালে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় একজন তিনদিন পর এবং আরেকজন চার দিন পর মারা যায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর দুজনের দেহ পার্শ্ববর্তী গধেয়াগছ এলাকায় কবর দেওয়া হয়।
পরিবারের অভিযোগ, রবিউলের সঙ্গে এলাকার এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাই ওই কিশোরীর পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলেন সেই সময় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা।
মৃতের রবিউলের বাবা কাবুল মহম্মদ বলেন, এদিন ওই কবরস্থানে ছেলের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করতে গিয়ে দেখা যায় কবরের মাটি খোঁড়া এবং গর্ত দেখতে পান। ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখা যায় মৃতদেহের মাথা কাটা। তাঁর সন্দেহ, ছেলেকে খুন করা হয়েছিল। তাই অভিযুক্তরা দেহ তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাই তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এনিয়ে থানায় ডাইরি করা হয়েছে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সমিজুদ্দিন আহমেদ বলেন, শেয়াল বা কুকুরের পক্ষে এভাবে কবরের মাটি ও বাঁশের পাটাতন সরানো সম্ভব নয়। পুনরায় ময়নাতদন্ত হওয়ার ভয়ে কে বা কারা দেহ নিয়ে গিয়েছে। তাই পুলিসের কাছে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করার দাবি করছি।