রথযাত্রায় লোকারন্য মাহেশ, মহিষাদল, গুপ্তিপাড়া
আজ রথযাত্রা। লোকারন্য মাহেশ , মহিষাদল , গুপ্তিপাড়া । রথের দড়ির সামান্য ছোঁয়া পেতে হুড়োহুড়ি। লক্ষাধিক মানুষ পথে নেমেছে জগন্নাথ , বলরাম , সুভদ্রা র রথ যাত্রায়। জমে উঠেছে মেলা।
![রথযাত্রায় লোকারন্য মাহেশ, মহিষাদল, গুপ্তিপাড়া রথযাত্রায় লোকারন্য মাহেশ, মহিষাদল, গুপ্তিপাড়া](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2017/06/25/88279-mahesh-25-6-17.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: আজ রথযাত্রা। লোকারন্য মাহেশ , মহিষাদল , গুপ্তিপাড়া । রথের দড়ির সামান্য ছোঁয়া পেতে হুড়োহুড়ি। লক্ষাধিক মানুষ পথে নেমেছে জগন্নাথ , বলরাম , সুভদ্রা র রথ যাত্রায়। জমে উঠেছে মেলা।
বঙ্কিমচন্দ্রের রাধারানীরা এখন আর মেলায় ফুলের মালা বিক্রি করে না। তালপাতার বাঁশিও আর কেনে না সেই মেয়েটি। বদলে গেছে মাহেশ। কলকাতা থেকে নৌকা ছুটিয়ে হুতোমের সাগরেদরা মাহেশের যে মেলায় আসতেন, এখন তা আর নেই। বদলেছে অনেক কিছু, তবু শতক প্রাচীন মাহেশে রথ যাত্রার সেই ঐত্যিহ্যের বদল হয়নি। সকাল থেকেই জমজমাট মাহেশ। ছশ একুশ বছরে পড়ল মাহেশের রথযাত্রা। আজও লোকারন্য মাহেশের রথ।
মহিষাদলের রথও বেশ প্রাচীন। সতেরশ ছিয়াত্তরে মহিষাদলের রানি জানকি দেবী এই রথযাত্রার সূচনা করেন। সেই থেকে প্রথা মেনে রাজবাড়ির লোকেরাই প্রথম রথের দড়িতে টান দেন। জগন্নাথ , বলরাম, সুভদ্রার পরিবর্তে রথে থাকেন মদনগোপাল। মদনগোপাল রাজপরিবারের গৃহ দেবতা। এবার রথ চার চূড়ার পরিবর্তে আট চূড়ার।
ওড়িশার পুরি, শ্রীরামপুরের মাহেশ ও পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের পর গুপ্তিপাড়ার রথ, দেশের চতুর্থ প্রাচীন রথযাত্রা । গুপ্তিপাড়া রথ পশ্চিমবঙ্গের সর্বপেক্ষা উচ্চতা বিশিষ্ট। প্রায় দুই কিলোমিটার পথ প্রদক্ষিণ করে। রথযাত্রা উপলক্ষে গুপ্তিপাড়ায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম, বসেছে বিরাট মেলা।
গ্রামের পথ ধরে মায়াপুরের জগন্নাথ যান মাসিরবাড়ি। সকাল থেকে পুজো হয় মায়াপুরে। তারপর মূল আসন থেকে জগন্নাথ, বলরাম,সুভদ্রাকে দোলায় করে তোলা হয় রথে। বিদেশ থেকে আসা হাজার হাজার ভক্তের সমাগমে মায়পুরে একটাই রব জয় জগন্নাথ, হরে কৃষ্ণ হরে রাম। মিন্টো পার্ক থেকে শুরু হয় কলকাতার ইসকনের রথযাত্রা। এবার উপস্থিত ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যয়, মেয়র শোভন দেব চট্টপাধ্যায়।