কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে কোভিডের চিকিতসা করাতে নয়া উদ্যোগ হুগলি জেলা প্রশাসনের
এই বেডগুলোকে রাখা হবে জেলার বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে । যাতে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেই প্রাথমিক চিকিত্সা করা যায় ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে । এই মুহূর্ত্বে সবচেয়ে বড় সমস্যা করোনা পজিটিভ রোগীদের হাসপাতালে বেডের ব্যবস্থা করা । এই সংকট দূর করতে হুগলী জেলা প্রশাসন করোনা আক্রান্তদের জন্য পাল্স অক্সিমিটার যুক্ত আইসোলেশন বেডের ব্যবস্থা করল । এই বেডগুলোকে রাখা হবে জেলার বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে । যাতে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেই প্রাথমিক চিকিত্সা করা যায় ।
এতদিন শুধু হাসপাতালেই আইসোলেশান ওয়ার্ডে করোনা লক্ষণযুক্তরা রোগীরা ভর্তি হয়ে সোয়াব টেস্ট করাতেন।টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ হলে আক্রান্তকে পাঠানো হত কোভিড হাসপাতালে। এবার থেকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোতে যারা থাকেন তাদের শরীরে কোন উপসর্গ দেখা দিলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রেখে য়াতে রোগীর প্রাথমিক চিকিতসা করা যায় তারজন্য পাল্স অক্সিমিটার যুক্ত আইসোলেশন বেডের ব্যবস্থা করেছে হুগলী জেলা প্রশাসন । ইদানিং করোনা আক্রান্ত অধিকাংশ উপসর্গহীন । ঘটনাচক্রে করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসে তারা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আছেন । তাদের শরীরে কোন উপসর্গ না থাকায় তাদের আইসোলেশনে ভর্তি থাকতে হচ্ছে না ।
১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর উপসর্গ না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয় ।করোনা সংক্রমণের সংখ্যা চক্রবৃদ্ধি সুদের হারে বাড়ার ফলে এখন প্রতিটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয় সবাইকে । নূ্ণ্যতম উপসর্গ দেখা দিলেই সোয়াব টেস্ট হচ্ছে । টেস্টে যাদের কোভিড পজিটিভের লক্ষণ আছে অথবা যাদের শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় অক্সিজেন কম , তাদের কথা ভেবেই পাল্স অক্সিমিটার যুক্ত আইসোলেশন বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোতে ।যাতে হাসপাতালে চাপ না বাড়িয়ে কোভিডের প্রাথমিক চিকিতসা এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেই করা যায় ।
কোভিডের প্রাথমিক চিকিতসায় কতটা কার্যকারি এই পাল্স অক্সিমিটার যুক্ত আইসোলেশন বেড , তারজন্য হুগলী জেলাশাসকের দফতরের সামনে পাল্স অক্সিমিটার যুক্ত আইসোলেশন ডেমো বেড রাখা হয়েছে। যাদের অক্সিজেন লেভেল কমে যায় তাদের অতিরিক্ত অক্সিজেন সাপ্লাই কি ভাবে দেওয়া হবে , যারা মাইল্ড , যারা উপসর্গহীন তাদের আইসোলেশন বেডের মাধ্যমে কিভাবে অক্সিজেনের দেওয়া হবে, অনেক সময় দেখা যায় সেফ হোমে আছেন তাদের শরীরে অক্সিজেনের পরিমান কম কিন্তু তা সব সময় বোঝা যায় না ।যখন বোঝা যায় তখন দেরী হয়ে যায় ।
আরও পড়ুন: ১৫ অগাস্টেই করোনামুক্তির পথে হাঁটবে দেশ! জীবনদায়ী ভ্যাকসিনটি পেতে পারেন সর্বস্তরের মানুষ
সেই সময় ভীষণ দরকার পাল্স অক্সিমিটার আইসোলেশন বেডের ।কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের পাশাপাশি কোভিড হাসপাতালগুলোতেও এই বেড রাখা সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন ।এই নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন জেলা শাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। তিনি জানান , স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে । ৫০-৬০ টা আইসোলেশান বেড বসানোর অনুমতি পাওয়া গেছে । “