পারিবারিক অশান্তির জেরে নরেন্দ্রপুরে খুন গৃহবধূ, বিছানায় মিলল গলাকাটা দেহ

নিজস্ব প্রতিবেদন: সংসার খরচের টাকা দেওয়া তো দূরের কথা উল্টে স্ত্রীকেই সন্দেহ করত স্বামী। এনিয়ে অশান্তির জেরে শেষপ্রর্যন্ত খুনই হতে হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের গৃহবধূকে।

নরেন্দ্রপুরের কুসুম্বা এলাকায় স্বামী বাপি বৈদ্যর সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন কৃষ্ণা বৈদ্য। বাপি পেশায় গাড়ি চালক। এটি তার তৃতীয় বিয়ে। অন্যদিকে, এনিয়ে দ্বিতীয়বার সংসার পেতেছিলেন কৃষ্ণা। অভিযোগ, সংসার খরচের কোনও টাকাই বাড়িতে দিত না বাপি, উল্টে কৃষ্ণার জমানো টাকা খরচ করত।

স্বামী কোনও টাকা না দেওয়ায় অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাত কৃষ্ণা। তাতেও শান্তি নেই। কৃষ্ণার সঙ্গে অন্য কারও সম্পর্ক রয়েছে বলে তাকে সন্দেহ করতো বাপি। এনিয়ে অশান্তি লেগেই থাকতো দুজনের মধ্যে। ঘরে খুব একটা আসতো না বাপি। তবে গাড়ি খারাপ থাকায় গত ২০-২২ দিন সে বাড়িতেই ছিল।

শুক্রবার বিকেলে মেয়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল কৃষ্ণার। তিনি না যাওয়াতে তাকে ফোন করেন তার মেয়ে। ফোনে না পেয়ে তিনি খোঁজ নিতে সোজা চলে আসেন কৃষ্ণার বাড়িতে। তিনিই দেখেন মায়ের গলাকাটা দেহ পড়ে রয়েছে বিছানার মধ্যে। খবর দেওয়া নরেন্দ্রপুর থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে সুভাষগ্রাম হাসপাতালে পাঠায়৷ চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর থেকেই পলাতক বাপি বৈদ্য। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় ৪৯৮এ ও ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আজ মৃতার দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।