গেরুয়া শিবিরে ভাঙন ধরাল শাসকদল, তৃণমূলে নবদ্বীপ-ঠাকুরনগরের কয়েকশো বিজেপি কর্মী
আমফানে ত্রাণ, করোনা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগে চলেছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তার মধ্যে বিজেপি শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে দিল শাসক দল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আমফানে ত্রাণ, করোনা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগে চলেছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তার মধ্যে বিজেপি শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে দিল শাসক দল।
রবিবার সন্ধেয় নবদ্বীপ ব্লকের মহিশুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের গদখালী, মালিতাপাড়ায় তৃণমূলের এক সভায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন শতাধিক বিজেপি সমর্থক। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মহিশুরা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আকমল সর্দার।
আরও পড়ুন-COVAXIN টিকার প্রয়োগে ICMR-এর সময়সীমা বেঁধে দেওয়াটা অযৌক্তিক! মত IASc-এর বিজ্ঞানীদের
ওই পঞ্চায়েতের চৌধুরীপাড়ার রতন চৌধুরীর নেতৃত্বে এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন ওইসব লোকজন। তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি কর্মী রতন চৌধুরী বলেন, আমরা সকলেই কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত। বিজেপিতে ছিলাম অনেক আশা ভরসা নিয়ে। কিন্তু বাস্তবে দেখলাম উল্টো। রাজ্য জুড়ে ক্রমশ অস্থিরতা সৃষ্টি করে চলেছে বিজেপি। তাই মা মাটি মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম।
বিজেপি ছেড়ে একাধিক কর্মী তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে মহিশুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আকমল সর্দার বলেন, রতন চৌধুরী-সহ সমস্ত কর্মীই ওদের দলে ব্রাত্য ছিলেন। তাছাড়া বাংলার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্যের উন্নয়ণ এবং করোনা আবহে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে তাঁর প্রতি সারা বাংলার মানুষ ভরসা পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন-দিনের পর দিন লুকিয়ে গেঁড়েছিল তাবু, 'আগ্রাসী' লাল ফৌজকে চরম শিক্ষা দিল গালওয়ান নদীই
অন্যদিকে, ফের ভাঙ্গন বিজেপিতে, ঠাকুরনগরে পাঁচ শতাধিক পরিবারকে নিজেদের দলে টানল তৃণমূল। রবিবার বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর চিকনপাড়া বটতলা এলাকায় দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনের অস্থায়ী মঞ্চ থেকে বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস ওইসব বিজেপি কর্মীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন। বিজেপির সন্ত্রাস ও মিথ্যাচার এর ফলে ও মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের মুগ্ধ হয়ে বিভিন্ন দল থেকে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তৃণমূলে আসছেন বলে মনে করছেন বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস।