পদ্ম ফুটলেও, মহেশতলায় জোড়া ফুলের জয়জয়কার

তৃণমূল বিধায়ক কস্তুরী দাসের মৃত্যুতে ২৮ তারিখ এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে শান্তিতেই হয় ভোট। বৃহস্পতিবার গণনা শুরু কিছুপর থেকেই সবুজ ঝড়ের ইঙ্গিত মিলেছিল। 

Updated By: May 31, 2018, 03:38 PM IST
পদ্ম ফুটলেও, মহেশতলায় জোড়া ফুলের জয়জয়কার

নিজস্ব প্রতিবেদন:   প্রথম কয়েক রাউন্ডের গণনার পরই আঁচ করা গিয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ যে ব্যবধানটা এতটা বেশি হবে, তা নিয়ে হয়তো কিছুটা হলেও সংশয়ে ছিলেন খোদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দুলাল দাস। ৬২ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। মহেশতলায় ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারল না বিজেপি। জয়ের বিশাল এই ব্যবধানে দুলাল দাস বলেন, ‘‘কিছুটা মনে করেছিলাম, তবে মুখে আগে কিছু বলিনি।‘’   

তৃণমূল বিধায়ক কস্তুরী দাসের মৃত্যুতে ২৮ তারিখ এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে শান্তিতেই হয় ভোট। বৃহস্পতিবার গণনা শুরু কিছুপর থেকেই সবুজ ঝড়ের ইঙ্গিত মিলেছিল। প্রত্যেক রাউন্ডেই ব্যাপক ব্যবধান রাখছিল তৃণমূল। প্রথমে সিপিএম দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও, কয়েক রাউন্ড পর থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি। ১৪-১৫ রাউন্ড গণনার পর থেকেই কার্যত বিজয়োল্লাসে মেতেছিলেন দুলাল অনুগামীরা। ২২ তম রাউন্ডের গণনা শেষে বেজে ওঠে ঢাক, হাওয়ায় ভাসে সবুজ আবির।

জয় তো হবেই, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন মহেশতলায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম ও তৃণমূল প্রার্থী দুলাল দাস। কিন্তু কত ব্যবধানে জয় হবে, তা নিয়ে আগেভাগে কোনও কথা বলতে চাননি তাঁরা। জয়ের পরই মুখ খোলেন ববি-দুলাল। তৃণমূল প্রার্থীর এই বিপুল ভোট পাওয়ার পিছনে কী রহস্য কাজ করেছে? দুলাল দাস জানাচ্ছেন, ‘‘রহস্যটি উন্নয়ন। সারা পশ্চিমবঙ্গের মতো মহেশতলাতেও প্রচুর উন্নয়নের কাজ হয়েছে। তা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদে।’’

 

.