দাঁড়িভিটের ঘটনায় দায় কার? বিস্ফোরক তথ্য জি ২৪ ঘণ্টার হাতে
ইতিহাস ও ইংরেজির শিক্ষক চেয়ে ডিআই-এর কাছে আবেদন করেছিল দাঁড়িভিট স্কুলের পরিচালন সমিতি।এসেছিল উর্দু ও সংস্কৃত শিক্ষক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কার ভুলে দাঁড়িভিটে বেঘোরে প্রাণ হারালেন দুই ছাত্র? ছাত্রছাত্রীদের আপত্তি সত্ত্বেও কেন উর্দু শিক্ষক নিয়োগ? জি ২৪ ঘণ্টার অন্তর্তদন্তে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। আতসকাঁচের তলায় সহকারী প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা। এমনকি কাঠগড়ায় উঠেছেন ডিআই-ও।
ইতিহাস ও ইংরেজির শিক্ষক চেয়ে ডিআই-এর কাছে আবেদন করেছিল দাঁড়িভিট স্কুলের পরিচালন সমিতি। তবে স্কুলে নিয়োগ করা হয় সংস্কৃত ও উর্দুর শিক্ষককে। তবে এব্যাপারে অন্ধকারে ছিল স্কুল পরিচালন সমিতি। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি নিশাচন্দ্র গণেশ বলেন, ''১৪ সেপ্টেম্বর আমরা এব্যাপারে জানতে পারি। প্রধান শিক্ষকই ফোন করে জানান''। বলে রাখি, শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ডিআই-এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কাছেই শিক্ষকের আবেদন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তিনি তা পাঠান স্কুল সার্ভিস কমিশনে। তাদের সুপারিশে নিয়োগপত্র দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাহলে কি ডিআই অফিসেই ভুল হল? স্কুল চেয়েছিল, ইংরেজি ও ইতিহাসের শিক্ষক, অথচ দেওয়া হল উর্দু ও সংস্কৃত শিক্ষক!
এব্যাপারে জানাতে পেরে ১৪ সেপ্টেম্বর স্কুল পরিচালন সমিতির সভায় আপত্তি তুলেছিলেন সভাপতি নিশাচন্দ্র গণেশ। তখন সভা বাতিল হয়। পরে ১৮ তারিখে আবারও বসে সভা। নিশাচন্দ্রের কথায়, ''বৈঠকে সংস্কৃত ও উর্দু শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদ করি। তখন সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল হুদা বলেন, এটা যখন এসেছে, তখন নিতেই হবে। তখন আমি প্রশ্ন করি, দরকার এক, আর এক শিক্ষক নেব কীভাবে? বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি''। ফলে সহকারী প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কেন তিনি জোর দিলেন দুই ভাষার শিক্ষক নিয়োগে?
পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে দুই শিক্ষককে প্রত্যাহার করা হয়। প্রস্তাবে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন প্রধান শিক্ষক অভিজিত্ কুণ্ডু, সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল হুদা ও পরিচালন সমিতির সভাপতি নিশাচন্দ্র গণেশ। তবে পরিচালন সমিতির সভাপতির দাবি মানতে চাননি নরুল হুদা। তাঁর দাবি,''ডিআই-এর কথায় প্রস্তাবটি লিখেছিলাম''। কিন্তু আপনার সই রয়েছে? ডিআই তাঁকে সই করতে বলেছিলেন বলে দাবি নুরুল হুদার।
পরে ২০ সেপ্টেম্বর স্কুলে নিয়োগপত্র হাতে পৌঁছে যান উর্দু ও সংস্কৃত শিক্ষক। তখন প্রধান শিক্ষককে ফোনে ডিআই জানান, দুই শিক্ষককে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পরিবর্তন করা হয়েছে। তাতে আগুনে আরও ঘি পড়ে। ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। ফলে গোটা বিষয়টি নিয়েই রয়েছে ধোঁয়াশা? কার ভুলে এত বড় ঘটনা?
আরও পড়ুন- Exclusive: ইসলামপুরে দুই ছাত্রকে খুন করেছে বিজেপি-আরএসএস: মমতা