Jalpaiguri: হোয়াটসঅ্যাপে কর্পোরেট ব্যাঙ্কের ভার্চুয়াল চেক, ভুয়ো লোনের ফাঁদে দম্পতি
দেবাশিষবাবু লোন নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে ৪,৮৮,১১০ টাকার একটি ভার্চুয়াল চেক পাঠিয়ে দেয় প্রতারকরা। এরপর শুরু হয় ছক অনুযায়ী প্রতারণা।
প্রদ্যুৎ দাস: এবার নামী-দামি কর্পোরেট ব্যাঙ্কের নামে ভার্চুয়াল চেক পাঠিয়ে প্রতারণা! হোয়াটসঅ্যাপে ভার্চুয়াল চেকের ছবি পেয়ে দম্পতি ভেবেছিলেন, তাঁদের লোন অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। পরে বুঝলেন সবটাই ভুয়ো। কয়েক দফায় ৭৫ হাজার টাকা খুইয়ে এখন জলপাইগুড়ি সাইবার থানার দ্বারস্থ ময়নাগুড়ির দম্পতি।
ময়নাগুড়ির দেবীনগর কামারপাড়া এলাকার বাসিন্দা দেবাশিষ কর্মকার। পেশায় তিনি একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী। সম্প্রতি দেবাশিষ বাবুর ফোনে নামী-দামি কর্পোরেট ব্যাঙ্কের লোন বিভাগের কর্মী পরিচয় দিয়ে একটি ফোন আসে। ফোনে বলা হয়, তাঁদের নামে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা সহজ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য লোন অনুমোদন হয়েছে। তিনি নিতে ইচ্ছুক কিনা? দেবাশিষবাবু লোন নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলে এরপর তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে ৪,৮৮,১১০ টাকার একটি ভার্চুয়াল চেক পাঠিয়ে দেয় প্রতারকরা। এরপর শুরু হয় ছক অনুযায়ী প্রতারণা।
ঋণ গ্রহণে সম্মতি জানালে প্রতারকরা বলে, তাঁদের মোট ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ১০৮ টাকা লোন দেওয়া জন্য ৮,৭০০ টাকা প্রথমে বডি ইনসিওরেন্স বাবদ ফোন পে-র মাধ্যমে দিতে হবে। সেই টাকা জমা দিলে আয়কর ফাইলের জন্য ৩৭,৩৩০ টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা জমা দিলে এরপর তৃতীয় দফায় তারা বলে, লোন অনুমোদন হয়েছে। এবার প্রসেসিং ফি বাবদ তাঁদের ২৩,৩৩০ টাকা দিতে হবে। সেই টাকাও দিয়ে দেন দেবাশিষবাবুরা। এরপর দুদিন পার হয়ে গেলেও তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা না ঢুকলে, তাঁরা আবার নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করেন। কিন্তু এবার আর ফোন ধরেনি প্রতারকেরা।
তখনই কর্মকার দম্পতি বুঝতে পারেন যে, তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। তারপরই তাঁরা ময়নাগুড়ি থানার দারস্থ হন। সেখান থেকে তাঁদের জলপাইগুড়ি সাইবার ক্রাইম থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জলপাইগুড়ি সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।
আরও পড়ুন, Nadia: বাবার কাছে নতুন মোবাইলের আবদার, ১০ দিন অপেক্ষা করতে বলতেই আত্মঘাতী ছাত্রী
Snake In Khichuri: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে মরা সাপ! তা-ই খেল শিশুরা, ভয়ঙ্কর ঘটনা জামালপুরে