তৃণমূল নেতার 'দাদাগিরি'তে বন্ধ জুটমিল! মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি

কারখানায় চড়াও হয়ে মালিকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চেয়ে হুমকি দেয়। এমনকি মারধরও করে।

Updated By: Jan 17, 2019, 05:00 PM IST
তৃণমূল নেতার 'দাদাগিরি'তে বন্ধ জুটমিল! মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃণমূল নেতাদের দাদাগিরিতে ময়নাগুড়িতে বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল। অভিযোগ, থানায় জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সুবিচারের আশায় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে এবার নবান্নের দারস্থ হয়েছেল জুটমিল মালিক। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ময়নাগুড়ির হুসলুর ডাঙায়।

জানা গিয়েছে, কাজ না করে টাকা চাওয়ায় ময়নাগুড়ির বাসিন্দা নিধিরচন্দ্র মন্ডল তাঁর জুটমিল থেকে শুভ্রজিত মন্ডল ও ইন্দ্রজিৎ মন্ডল নামে দুই শ্রমিককে বের করে দেয়। অভিযোগ, এরপরই স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা বাপি ইসলাম ও সুশীল বাড়ুই কারখানায় চড়াও হয়ে মালিকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চেয়ে হুমকি দেয়। এমনকি মারধরও করে।

মিল মালিক নিধির মন্ডলের অভিযোগ, ৯ তারিখ ময়নাগুড়ি থানায় এই ঘটনায় নিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতারা  ময়নাগুড়ি ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ হওয়াতেই পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। তিনি জানিয়েছেন, বাধ্য হয়েই মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে পাটের সুতলি তৈরির জন্য এই কারখানা চালু হয়। বিহার থেকে দক্ষ শ্রমিক এনে স্থানীয় শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত করে তারপর তাঁদের কাজে নিয়োগ করাই ছিল উদ্দেশ্য। সেভাবেই চলছিল কাজ। কিন্তু সম্প্রতি কারখানায় একটি সমস্যা দেখা দেয়। এক শ্রমিক কারখানার একটি মেশিন নষ্ট করে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপরই কয়েকজন শ্রমিক কাজ ছেড়ে চলে যায়।

অভিযোগ, তারপরই স্থানীয় দুই আইএনটিটিইউসি নেতা কারখানায় এসে গন্ডগোল পাকায়। ছাটাই করা ও কাজ ছেড়ে যাওয়া শ্রমিকদের কাজে নিতে হবে বলে প্রথমে চাপ সৃষ্টি করে। মিল মালিককে মারধরও করে অভিযুক্তরা। বাপি ইসলাম ও সুশীল বাড়ুই নামে দুই নেতা-ই ময়নাগুড়ি ব্লক ১- এর  তৃণমূল সভাপতি মনোজ রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

আরও পড়ুন, মালদায় অমিত শাহের সভাস্থল ঘিরে জমি বিতর্ক, বিড়ম্বনায় বিজেপি

যদিও অভিযুক্ত ময়নাগুড়ি ব্লক ১- এর  তৃণমূল সভাপতি মনোজ রায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি পাল্টা দাবি করেছেন, কাঁচামালের অভাব দেখিয়ে ৭ দিনের জন্য কারখানা বন্ধ রেখেছেন খোদ মালিক। কোনওরকম তোলাবাজির ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।

তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, যদি এই ঘটনায় দলের কেউ যুক্ত থাকে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকেই রেয়াত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

.