Kalna: রেলে কাটা পড়ে গৃহবধূর 'মৃত্যু', মর্গে শ্বশুরবাড়ি-বাপেরবাড়ির মধ্য়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড!
শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে মারধর এবং জুতপেটা করা হয় বলে অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার গৃহবধূর মৃতদেহ। ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় কালনা রেল পুলিশ। সেখানেই ধুন্ধুমার কাণ্ড! মৃতার বাপের বাড়ি এবং শশুর বাড়ির মধ্যে তুলকালাম লেগে যায় বলে সূত্রের খবর।
অভিযোগ, কালনা হাসপাতালের মর্গে, মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন, শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে মারধর এবং জুতপেটা করে বলে অভিযোগ। মৃতার স্বামীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে যায় কালনা থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, প্রায় ১৮ বছর আগে কালনার সমুদ্রগড় চর গোয়ালপাড়ার বানেশ্বর দাসের সঙ্গে, নদীয়ার মাটিয়ারির শর্মিলা দাসের বিয়ে হয়। সংসার ঠিকঠাক চলছিল। এরপর দাস পরিবারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। অভিযোগ, পেশায় ভ্যানচালক বানেশ্বর প্রায়শই মদ্যপান করত। স্বামীর এই স্বভাবের বিরোধিতা করতেন শর্মিলা। সেই কারণে প্রায়শই সংসারে খুঁটিনাটি অশান্তি লেগে থাকতো।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে অশান্তি চরম আকার নেয়। স্বামীর সঙ্গে বচসার পর গভীর রাতে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান স্ত্রী। বাড়ির লোকেরা সারারাত খোঁজাখুঁজির পরও তাঁর হদিশ পায়নি। রবিবার সকাল ৯টার পর পরিচিতিদের মারফত তারা জানতে পারেন, সমুদ্রগড় ও নান্দাই রেল স্টেশনের মধ্যে গলাকাটা অবস্থায় শর্মিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় কালনা রেল পুলিস।
খবর পেয়ে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনরা নথি ও প্রমাণ দেখিয়ে দেহ সনাক্তকরণ করেন। এরপরেই মর্গে এসে পৌঁছায় মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অভিযোগ, স্বশুর বাড়ির লোকদের দেখেই মারমুখী হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা। কিল, চড় মারা হয়। সঙ্গে চলে জুতোপেটা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কালনা থানার পুলিস।