বিশ্বকর্মা সেজেগুজে হল কার্তিক! ঠাকুর বদল ঘিরে ধুন্ধুমার কার্জন গেট
দোকানদারের সোজাসাপ্টা সাফাই, "কার্তিক ঠাকুরের সাপ্লাই কম, তাই বিশ্বকর্মাকেই কার্তিক বানাতে হয়েছে আর কী!"
নিজস্ব প্রতিবেদন : ছিল বিড়াল, হল রুমাল। একইভাবে কেনা হল কার্তিক, বাড়ি গিয়ে দেখা গেল তা আসলে বিশ্বকর্মা। বাহন ময়ূরের বদলে হাতি দেখেই খটকা লাগে অলোক বাবুর ও তাঁর পুত্রবধূর। কার্তিকের বদলে বিশ্বকর্মার মূর্তি বিক্রি নিয়ে তারপর ধুন্ধুমার বাঁধল বর্ধমানের কার্জন গেটের সামনে।
আরও পড়ুন, সরকারি চাকরির আশ্বাস, প্রতারণার অভিযোগে ধৃত 'মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়'!
কার্তিক পুজো উপলক্ষে কার্জনগেট চত্বর এখন কার্তিকের দখলে। রাস্তার দুই পাশে সার দিয়ে বিক্রি হচ্ছে কার্তিক। এদিন সেখানেই কার্তিক ঠাকুরের নাম করে বিশ্বকর্মা ঠাকুর বিক্রির অভিযোগ উঠল। বিক্রেতার নাম সন্তোষ পাল। বাড়ি বর্ধমান শহরের ছোটনীলপুর এলাকায়। বর্ধমান শহরের বাদামতলার বাসিন্দা অলোক মজুমদার বিক্রেতা সন্তোষ পালের কাছ থেকে কার্তিক ঠাকুর কেনেন।
আরও পড়ুন, কলকাতা শহরের নির্মীয়মান উচ্চতম বহুতল, THE 42-এ আগুন
দরদাম করে ১০০ টাকা দিয়ে ঠাকুর কিনে বাড়িও ফিরে যান তিনি। বাড়ি ফিরতেই কার্তিককে দেখে বৌমা পূজা মজুমদারের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। তিনি জানিয়েছেন, মোড়ক খুলে দেখি ময়ূর নয়, হাতির উপর বসে রয়েছে কার্তিক ঠাকুর! বিশ্বকর্মার প্রতিমাকেই কাপড় পরিয়ে কার্তিক সাজিয়ে তাঁদের বিক্রি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, ছয় মিনিটের দৌড়! রাখালের 'হৃদয়'কে সৈকতের 'স্পন্দনে' বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে মেডিক্যাল কলেজ
এরপরই বৌমাকে নিয়ে অলোকবাবু সটান হাজির হন কার্জনগেটে। চেপে ধরেন ওই বিক্রেতাকে। বেকায়দায় পড়েও দমবার পাত্র নন দোকানদার। সোজাসাপ্টা সাফাই দেন, "কার্তিক ঠাকুরের সাপ্লাই কম, তাই বিশ্বকর্মাকেই কার্তিক বানাতে হয়েছে আর কী!" এক-দু'কথা হতে হতে দোকানদার সন্তোষ পালের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অলোকবাবু ও তাঁর বৌমা। উত্তেজনা ছড়ায় কার্জন গেট চত্বরে।
জেনে রাখুন, পিরিয়ডের সময় সেক্স! অবশ্যই... মিলবে ৫টি দুর্দান্ত সুফল
আঙটি বদল, দল বদল, অনেক বদলই শোনা গিয়েছে এতদিন। কিন্তু তাই বলে ঠাকুরও বদল! রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এঘটনায়। বিক্রেতা সন্তোষ পাল পরে অন্যায় স্বীকার করেন। বলেন, অন্যায় হয়েছে। এরকম আর কখনও তিনি করবেন না।