Sealdah Metro Inaguration: আমন্ত্রণ বিতর্কের মধ্যেই শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধন স্মৃতি ইরানির
এদিন বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিট নাগাদ তিনি শিয়ালদহ স্টেশনে আসেন। গোটা স্টেশন ঘুরে দেখেন। রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু বিষয় জেনে নেন। এরপর একটি ট্রেনেও ওঠেন
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই উদ্বোধন হয়ে গেল শিয়ালদহ মেট্রোর। বৃহস্পতিবার থেকে পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা। এবার শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ধরে খুব অল্প সময়েই মধ্যে মাত্র ২০ টাকায় পৌঁছে যাওয়া যাবে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ। ফলে শিয়ালদহ থেকে যাত্রার ধকল ও সময় এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যাবে।
মঙ্গলবার হাওড়া ময়দান থেকে ভার্চুয়ালি শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ভার্চুয়াল উদ্বোধনের আগে স্মৃতি বলেন, মেট্রো রেলকে অভিনন্দন। ১২০০ কোটির এই ২.৩৩ কিলোমিটারের কাজ যারা করেছেন তাদের ধন্যবাদ। এতে উপকৃত হবেন ৩৫ হাজার যাত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন সফল করতে উল্লেখযোগ্য কাজ করছে ভারতীয় রেল। শিয়ালদহ এশিয়ার সবচেয়ে ব্যাস্ত স্টেশন। এর সঙ্গে শহরের অন্যান্য অংশকে জুড়ে দেওয়ার সব চেষ্টাই করেছে কেন্দ্র। যে সল্টলেকে মেট্রো যাবে সেখানে আমার দাদুর বাড়ি। তাই সেই যাত্রার জন্য ফিতে কাটতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে।
উল্লেখ্য, শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধনের আগে শিয়ালদহ থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির। সেই কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিট নাগাদ তিনি শিয়ালদহ স্টেশনে আসেন। গোটা স্টেশন ঘুরে দেখেন। রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু বিষয় জেনে নেন। এরপর একটি ট্রেনেও ওঠেন। কিন্তু তাঁকে ঘিরে শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। স্মৃতিকে বলতে শোনা যায়, আমি একজন মহিলা। আপনারা ধাক্কাধাক্কি করছেন তারা ওসব করবেন না। একটু শান্ত হোন। এরপরই কর্মসূচি বদল করে ট্রেনে উঠেও তিনি নেমে পড়েন। সেখান থেকে তিনি চলে যান হাওড়া ময়দানে।
শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাতে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এনিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। প্রথমত, মুখ্যমন্ত্রী পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির মধ্যেই উদ্বোধনের তারিখ ঠিক করায় রেলকে দুষছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে রবিবার রাতে। যদিও অরূপ রায়ের দাবি, রেলের কোনও চিঠি পাননি। আবার যে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে সেখানে নেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম। তবে চিঠিতে 'সম্মানীয় অতিথি' হিসেবে নাম রয়েছে স্থানীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক পরেশ পালের।
রবিবার রাত ৮টার পর চিঠি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে তাঁর স্পষ্ট কথা, যেভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তা চূড়ান্ত অসম্মানের। একই কথা কুণাল ঘোষেরও। তিনি বলেন, "যে পদ্ধতি আমন্ত্রণগুলো করা হয়েছে! আগের রাতে গিয়ে একটা কার্ড ফেলে আসা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে! এটা চূড়ান্ত অপমানজনক ও শালীনতা বিরোধী।" তাঁর স্পষ্ট কথা, "বিভেদকামীদের ভিক্ষে গ্রহণ করতে আমরা প্রস্তুত নই।" তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দু-দুবার রেলমন্ত্রী ছিলেন। এই মেট্রো প্রকল্পগুলির সমস্তটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ভাবনা। সময়ে সময়ে রাজ্য সরকার টাকা ঢেলেছে। মানুষকে বুঝিয়ে জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা করেছে। আর উদ্বোধনের সময় মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কেই অপমান?"
আরও পড়ুন-Nirmal Maji: নির্মল-বচন নিয়ে মামলা; 'মা সারদাকে নিয়ে মন্তব্য অপরাধ', হাইকোর্টে সওয়াল