আসানসোলে খনি এলাকায় বড়সড় ধস, মাটিগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা ইসিএলের সাবস্টেশন
বড়সড় ধস আসানসোলে। পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক যে, ধস বাড়লে তাহলে মাটিগর্ভে চলে যাবে সাতগ্রাম এরিয়ার নিমচা গ্রামের ইসিএল-এর বিদ্যুতের সাব স্টেশনটি। এর ফলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ইসিএলকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বড়সড় ধস আসানসোলে। পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক যে, ধস বাড়লে তাহলে মাটিগর্ভে চলে যাবে সাতগ্রাম এরিয়ার নিমচা গ্রামের ইসিএল-এর বিদ্যুতের সাব স্টেশনটি। এর ফলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ইসিএলকে।
ইসিএল বিপদে পড়লে সাতগ্রামের প্রায় চোদ্দ থেকে পনেরোটি গ্রাম অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুধু অন্ধকার নয়, এই ধসে অশনি সংকেত দেখছেন গ্রামের কয়েকশো মানুষ। কারণ গ্রামের বাড়িঘর চলে যেতে পারে মাটির তলায়।
আপাতত ইসিএল কর্তৃপক্ষ বালি ফেলে গর্ত বন্ধ করে দিলেও বিপদের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আজ থেকে প্রায় পনেরো বছর আগেও এই এলাকায় ফায়ারফাইটিং প্রজেক্টের জন্য কয়লা তোলা হত। কিন্তু ২০০৯ সালের পর এখানে কয়লা তোলা বন্ধ হয়ে যায়। কারণ মাটির তলায় আগুন লেগে গিয়েছিল। প্রায় এক দশক আগে বিধ্বংসী ধস নামে এই সাতগ্রাম এরিয়াতে। তারপর সরকার এই জায়গাকে ধসপ্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত করে।
ব্রিটিশযুগে সাতটি গ্রাম নিয়ে তৈরি হয়েছিল ইসিএলের এই এলাকা। তারপর এখানে আরও একাধিক গ্রাম গড়ে ওঠে। সেই গ্রামগুলো গড়ে উঠেছে কার্যত বিপদকে সামনে রেখেই। সাতগ্রামের পুরো এলাকার মাটি ফাঁপা। যেকোনও সময় ধস নেমে গ্রামের পর গ্রাম মাটিগর্ভে চলে যেতে পারে।
গ্রামের মানুষের অভিযোগ, ফায়ারফাইটিং প্রজেক্টে কয়লা উত্তোলনের পর সঠিকভাবে খনি ভরাট না করার জেরেই নিয়মিত এই ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের দাবি, এই সাব স্টেশনটিকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে এলাকাটিকে ভরাট করে গ্রামের মানুষকে রক্ষা করুক ইসিএল কর্তৃপক্ষ। আপাতত ধস কবলিত এলাকার চারিপাশে যাতে কেউ আসতে না পারে তারজন্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করে এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে ইসিএল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন, করোনা আক্রান্ত হন, প্রয়াত কোচবিহারের প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি
আরও পড়ুন, স্ত্রী-সন্তান থাকতেও মন্দিরে লুকিয়ে বিয়ে, ৯ মাস পর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন শিক্ষক স্বামীর