তিন বছর পর বাম ব্রিগেড, আকর্ষণের কেন্দ্রে কানহাইয়া
সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, বহু মানুষ এতদিন তৃণমূলের ভয়ে রাস্তায় নামতে পারতেন না। এবার তারা বেরিয়ে এসেছেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: সকাল থেকেই ব্রিগেডমুখী বাম সমর্থকদের স্রোত। তিন বছর পর বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে জেলা থেকে কাতারে কাতারে মানুষ আসতে শুরু করেছেন কলকাতায়। শিয়ালদহ, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, হাওড়া দিয়ে মানুষ আসছেন জেলা থেকে। কৃষ্ণনগর থেকে একটি ট্রেন বুক করে ব্রিগেডে আসছেন মহিলারা।
আরও পড়ুন-সিন্ডিকেটের ভাগ না মেলায় ৯০ হাজার কোটির কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাধা মমতার: মোদী
শিয়ালদহ থেকে একটি বড় ও একটি ছোট মিছিল যাবে ব্রিগেডে। এনিয়ে উত্সাহিত বাম নেতারা। সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, বহু মানুষ এতদিন তৃণমূলের ভয়ে রাস্তায় নামতে পারতেন না। এবার তারা বেরিয়ে এসেছেন। এদের বেশিরভাগটাই তরুণ। এত মানুষ আসছে তাতে ব্রিগেড ভরে যাবে। এবার বামেদের স্লোগান, তৃণমূল হঠাও রাজ্য বাঁচাও, বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও।
তিন বছর পর এই ব্রিডেডে বহু মানুষ এসেছেন গতকরালই। রাতে থেকেছেন ধর্মশালা বা হোটেলে। আজ তারা সভাস্থলমুখী হয়েছেন। অনেকে এসেছেন ঝাড়গ্রাম থেকে। ঝাড়গ্রাম থেকে ট্রেন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এসেছেন একদল মানুষ। তাঁরা জানালেন, আমাদের উদ্দেশ্য বিজেপি ও তৃণমূলের এই আঁতাত ভাঙতে হবে।
রবিবার হওয়ায় রাস্তাঘাটে যানবাহনের সংখ্যা অনেকটাই কম। তবে শিয়ালদহ থেকে কাঞ্চনকন্যা সহ বহু ট্রেনে চড়ে হাজার হাজার মানুষ আসছেন ব্রিগেডে। হাওড়া থেকেও আসছেন শয়ে শেয়ে মানুষ। তারা রাস্তার দখল নিতে শুরু করেছেন। শিয়ালদহ থেকে দুটি মিছিল বের হওয়ার কথা। একটি মিছিল হবে সকাল দশটায় ও অন্যটি হবে এগারোটায়।
আরও পড়ুন-নয়া সিবিআই অধিকর্তা হলেন মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ঋষি কুমার শুক্লা
এবারের ব্রিগ্রেডে রাজ্য ও সর্বভারতীয় বাম নেতারা ছাড়াও মূল আকর্ষণ ছাত্রনেতা কানাইহা কুমার। বাম সমর্থকদের মধ্যে একটা জিনিস লক্ষ্যনীয় যে সমর্থকদের অধিকাংশ তরুণ প্রজন্মের।
সকাল আটটার পর থেকে হাওড়া স্টেশন থেকে বহু বাম সমর্থক বেরিয়ে গঙ্গা পার করে ব্রিগেড অভিমুখে হাঁটা আরম্ভ করেছেন। অনেকে আবার আসছেন হাওয়া ব্রিজ দিয়ে পায়ে হেঁটে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের অফিস থেকে বহু মানুষ ব্রিগেডের উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়েছে খিচুড়ি খেয়ে।
এদিকে, ব্রিগেড সমাবেশের সবথেকে বড় আকর্যণ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এবার তিনি থাকতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি। তবে সমাবেশের আগের দিনই দলীয় মুখপাত্র একটি বার্তা দিয়েছেন বুদ্ধবাবু। সামাবেশে না আসতে পারলে তাঁর সেই বার্তা পড়ে শোনান হবে।