করোনা আতঙ্কে এবার বন্ধ হল গরুবাথানের সোমবাড়ি হাটও
আগামী ৩ মে'র হাটও বন্ধ থাকবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুও। রাজ্যের পরিস্থিতিও খারাপ। অবনতি হচ্ছে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতিরও।
এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের (covid-19) প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে ডুয়ার্স (dooars) ও সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকাতেও। মানুষের মনে আতঙ্ক। সংক্রমণ ঠেকাতে বেশ কিছু এলাকায় হাটবাজার (grocery market) আগেই বন্ধ করা হয়েছে। একই কারণে এবার বন্ধ করে দেওয়া হল কালিম্পং (kalimpong) জেলার গরুবাথান ব্লকের সোমবাড়ি হাট।
আরও পড়ুন: Snow Leopard 'মর্নিং' জন্ম দিল একটি শাবকের
প্রতি সপ্তাহে সোমবার গরুবাথান ব্লকের সদর এলাকায় বসে এই সোমবাড়ি হাট। পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকায় মানুষ যেমন এই হাটে আসেন, তেমনই সমতল এলাকার বহু ব্যবসায়ী ও ক্রেতাও এই হাটে আসেন। পাহাড় ও সমতলের মেলবন্ধন ঘটায় এই হাট।
করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শনিবার ব্যবসায়ী সমিতি ও স্থানীয় লোকজন পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে একটি বৈঠক করে। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ২৬ এপ্রিল এবং ৩ মে পরপর দুটি সাপ্তাহিক হাটই বন্ধ থাকবে। সেই মর্মে ঘোষণাও করা হয়।
গতকাল গরুবাথান ব্লকের সোমবাড়ি হাট বসেনি। হাটের চালা ছিল সুনসান। কিন্তু ক্রান্তি, ডামডিম, সাইলি-সহ কয়েকটি এলাকার কিছু সবজি বিক্রেতা হাটে বেচাকেনা না করতে পেরে গরুবাথান থেকে প্রায় ২ কিমি দূরে স্পেশাল গোলাই এলাকায় তাঁদের পসরা সাজিয়ে বসেন। এই সবজি বিক্রেতারা জানান, বন্ধের ঘোষণা তাদের জানা ছিল না। তা ছাড়া কাঁচা সবজি নিয়ে আসা হয়েছে। এখন বিক্রি না হলে নষ্ট হবে। লোকসান হবে তাই এখানে বসতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। তবে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাট বন্ধের সিদ্ধান্ত সমস্ত ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকেই জানানো হয়েছে।
সামনের হাটবন্ধের দিনে এ জাতীয় কোনও সমস্যা তৈরি হবে না।
আরও পড়ুন: পর্যটকদের হাতছানি দিচ্ছে কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের কুয়াপানি