Bhangar: নিঃশব্দে বিক্রি হচ্ছে ভাঙড়ের সরকারি জমি, অভিযোগের তির তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে

একদিকে ভাঙরের অবজারভার শওকত মোল্লা তিনি কর্মী সভা থেকে বারে বারে বলছেন ভাঙড়ের সরকারি জায়গা যারা দখল করছে, টাকার বিনিময়ে কিছু তৃণমূল নেতাকর্মী তাদেরকে সাহায্য করছে। এটা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না আগামী দিনে যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে। 

Updated By: Jun 7, 2023, 11:05 AM IST
Bhangar: নিঃশব্দে বিক্রি হচ্ছে ভাঙড়ের সরকারি জমি, অভিযোগের তির তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে
নিজস্ব চিত্র

প্রসেনজিৎ সর্দার: ভাঙ্গরে রাতারাতি তৈরি হয়ে যাচ্ছে, কংক্রিটের দোকান। সেটাও তৈরি হচ্ছে সরকারি খালপাড়ের জায়গায়। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এই কাজ করার। যদিও এই ঘটনায় নিরব পুলিস প্রশাসন।

একদিকে ভাঙরের অবজারভার শওকত মোল্লা তিনি কর্মী সভা থেকে বারে বারে বলছেন ভাঙড়ের সরকারি জায়গা যারা দখল করছে, টাকার বিনিময়ে কিছু তৃণমূল নেতাকর্মী তাদেরকে সাহায্য করছে। এটা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না আগামী দিনে যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে। কিছু অংশের পুলিসও এর মধ্যে আছে। তাদেরও সাবধান করে দেন সওকাত মোল্লা। কর্মী সভা থেকে এরকম ধমক দিলেও অবাধে সরকারি জায়গা দখল করছে কিছু অংশের এলাকার বাসিন্দারা। তাদের সাহায্য করছে তৃণমূল নেতা এবং পুলিস।  এমনটাই দাবি এলাকাবাসীদের।

আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: চলছে প্রাক বর্ষায় দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ, মেয়াদ বেড়ে হল ১০ জুন

এই বিষয়ে শওকত মোল্লাকে জানালে তিনি বলেন, ‘ভাঙরের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী, তিনি বিষয়টা দেখুন। তিনি তো বলেন তৃণমূলের ভাঙরে কোনও অস্তিত্ব নেই। তিনি আরও বলেন তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। তৃণমূলের কেউ এর সঙ্গে জড়িত আছে কিনা। এই ধরনের কাজ তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করে না’।

ঘটনাটি ভাঙর ২ নম্বর ব্লকের হাটগাছা ও ধর্মতলা পাচুরিয়া এলাকার। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ভাঙরের ওই এলাকার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে কেষ্টপুর খাল। আর সেই খালের জায়গা দখল করে অবাধে তৈরি হচ্ছে কংক্রিটের ঘর বা দোকান। কিন্তু নিরব KLC থানার পুলিস প্রশাসন। এমনটাই স্থানীয়দের দাবি।

আরও পড়ুন: Cooch Behar News:কোচবিহার রাজবাড়িতে মহারাজ সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য প্রাক্তন মন্ত্রীর, আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি তৃণমূলের

অন্যদিকে পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন প্রাক্তন পুলিস কর্মীর দেবাশীষ পাত্র। তিনি জানান ওয়েট ল্যান্ড এর জায়গায় ঘর করতে গেলে KLC থানায় দিতে হয় টাকা এবং তৃণমূল নেতাদেরও না দিলে ঘর করতে পারবেনা কখনও।

স্থানীয় CPIM নেতা দীপাঞ্জন নস্কর জানান, ‘এলাকায় স্থানীয় মানুষরা বাড়ি করতে পারছে না। কিন্তু সরকারি খালপাড় বিক্রি করে খাচ্ছে তৃণমূল নেতারা এতে KLC থানার পুলিস জড়িত আছে’।

অন্যদিকে গোটা বিষয়টি অস্বীকার করে ভাঙরের অবজারবার ও তৃণমূলের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনও খবর নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি আর এই ধরনের কাজ কে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করে না’।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

 

.