কাটমানির বখরা নিয়ে কোন্দলেই খুন ব্যান্ডেলের তৃণমূল নেতা, দাবি সাংসদ লকেটের
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস মনে করছে, অনেকদিন ধরেই খুনের ছক কষা হয়েছিল। দিলীপ রামের গতিবিধির উপরে নজর রাখা হচ্ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা খুনের পিছনে রয়েছে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কাটমানির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই জেরেই খুন হতে হয়েছে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান স্বামীকে। দলীয় নেতা খুনে তৃণমূল যখন বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে, তখন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় পাল্টা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের দলীয় কোন্দলের দিকে।
শনিবার সাতসকালে ব্যান্ডেল স্টেশনে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঠিক কী ঘটেছিল? এদিন সকালে ব্যান্ডেল স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন দিলীপ রাম। সেই সময়েই কয়েকজন এসে আচমকা দিলীপ রামকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তৃণমূল নেতার মাথার পিছনে গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্যান্ডেল জিআরপি এবং স্থানীয় লোকেরা তাঁকে চুঁচড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, ঘণ্টাঘানেকের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর।
খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে ব্যান্ডেল জিআরপি ও ব্যান্ডেল পুলিস ফাঁড়ি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস মনে করছে, অনেকদিন ধরেই খুনের ছক কষা হয়েছিল। দিলীপ রামের গতিবিধির উপরে নজর রাখা হচ্ছিল। সাধারণত অফিসে যাওয়ার সময় একা থাকেন দিলীপ রাম। হামলার জন্য তাই এই সময়টাই বেছে নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি, অপারেশন সেরে পালিয়ে যাওয়ার অনেক পথ থাকায় স্টেশনকেই বেছে নিয়েছিল আততায়ীরা। খুনের আগে রেইকিও করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন, ১ কোটি টাকা তোলা চেয়ে চড়াও 'তৃণমূল কর্মী', ব্যাপক মারধর ব্যবসায়ীকে
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, দিন দুয়েক আগে হুমকি ফোন এসেছিল দিলীপ রামের কাছে। পুলিসকে সেকথা জানানো হয়েছিল। দুটো নম্বরও দেওয়া হয়েছিল পুলিসকে। কিন্তু কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। জানা যাচ্ছে, কল দুটো এসেছিল ঝাড়খণ্ড থেকে। আজকের খুনের সঙ্গে এই ফোন কলের কোনও যোগসাজশ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।