'ঝুটা চৌকিদার'কে বিঁধতে আজ জোড়া সভা মুখ্যমন্ত্রীর

এদিনের প্রচার সভা থেকে মুখ্য়মন্ত্রী ঠিক কী বার্তা দেন, সেটাই দেখার। 

Updated By: Apr 5, 2019, 10:31 AM IST
'ঝুটা চৌকিদার'কে বিঁধতে আজ জোড়া সভা মুখ্যমন্ত্রীর

কমলিকা সেনগুপ্ত ও সুতপা সেন: রাজ্যের প্রথম দফা নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েকটি দিন। যতই দিন এগোচ্ছে, সাম্প্রতিক রাজনীতিতে যুযুধান প্রতিপক্ষ আক্রমণের সুর চড়াচ্ছে ততই। ইতিমধ্যেই মোদীর আক্রমণের পাল্টা দিতে পরপর দুটি সভা করে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবারও জোড়া সভা করবেন তিনি। 

 

এদিন, পড়শি রাজ্য অসমের ধুবরি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নুরুল ইসলামের সমর্থনে সভা করবেন তিনি। বেশ কয়েকটা আসনে এবার তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভায় লড়ছে। NRC এবং নাগরিকত্ব বিল নিয়ে অসমের মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। NRC ইস্যুতেই বিজেপির বিরুদ্ধে এদিন তাঁর সুর চড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। 

কোলাঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় গাড়ি ঢুকে গেল বাসের নীচে, মৃত ২
 অন্যদিকে, নকশালবাড়িতে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা ১০ দিন উত্তরবঙ্গ সফরে আজই প্রথম দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার করবেন তিনি। দার্জিলিং লোকসভার নকশালবাড়ি অঞ্চলটি মাটিগাড়া নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। আদিবাসী অধ্যুষিত এই এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে উত্সাহ চোখে পড়ার মতো। 
 দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অমর রাই সেখানকার ভূমিপুত্র ।এবারের নির্বাচনে বিজেপির হাত থেকে দার্জিলিং কেন্দ্রটি জয় করে নিতে যাকে তুরুপের তাস করেছে তৃণমূল। 

'শলাকা' দেখিয়ে বুথ কর্মীদের ভোট করানোর নিদান অনুব্রতর
 গত ২-৩ বছরে দার্জিলিঙে তৃণমূলের শক্তি খানিকটা হলেও বেড়েছে । বিমল গুরুং রোশন গিরিরা এলাকাছাড়া হয়ে যাওয়ার ফলে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে তৃণমূল ।শুধু তাই নয় দার্জিলিংয়ের বিজেপির প্রার্থী বহিরাগত । সেই সুযোগটাও নিতে চাইছে তৃণমূল। নকশাল বাড়ি থেকে দার্জিলিং কেন্দ্রের প্রচার শুরু করার পেছনে মূল উদ্দেশ্য আদিবাসী ভোট সমর্থন আদায় করে নেওয়া।আর সেই কারণেই সমতলের দিক থেকেই দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের প্রচার শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত দুদিনের সভা থেকে একের পর এক মোদীকে বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও 'এক্সপায়ারিবাবু', আবার কখনও 'চৌকিদার ঝুটা হ্যায়'  বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন সংযোজন ছিল  ‘‘ মোদী মহম্মদ বিন তুঘলকের ঠাকুরদা ও হিটলারের জ্যাঠামশাই।’’  এদিনের প্রচার সভা থেকে মুখ্য়মন্ত্রী ঠিক কী বার্তা দেন, সেটাই দেখার। 

 

.