Madan Mitra: 'এ রাজ্যে রাজনৈতিক ভাবে মৃত বিজেপি'র জন্য আগাম তর্পণ করলাম', মদন মিত্র
রাজ্যে মিঠুন চক্রবর্তীর পুজো উদ্বোধন নিয়ে মদন মিত্র জানান, মিঠুন চক্রবর্তী তো এতদিন বলতেন, উনি বাংলার ছেলে! তা হলে হঠাৎ করে বঙ্গসফরে এসে পুজো উদ্বোধনের কী দরকার?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মদন মিত্র বরাবরই রঙিন চরিত্রের ব্যক্তি। তাঁর আচরণ কথা-বার্তা ইদানীং আর শুধু রাজনৈতিক চৌহদ্দিতেই সীমাবদ্ধ নেই। এমনকি, তিনি যখন ঘোর রাজনৈতিক আচরণও করেন বা রাজনৈতিক বক্তব্যই রাখেন, তখনও সেটা নিছক রাজনৈতিক পরিসরেই সীমাবদ্ধ থাকে না। তার একটা জনমোহিনী প্রসাদগুণ থাকে, বা তা নিছক সাধারণ মানুষকে ছুঁয়ে যায়। যেমন এই তর্পণ। মহালয়ার দিনে মানুষ তাঁর পিতৃপুরুষকে বা পূর্বপুরুষকে জল অর্পণ করেন, শ্রদ্ধা-তর্কণ করেন। মদন মিত্রও তর্পণ করেছেন। কিন্তু কাকে উদ্দেশ্য করে তিনি তর্পণ করেছেন?
তর্পণ করে মদন মিত্র যা বললেন, তার মর্মার্থ হল-- শুভেন্দু এবং দিলীপ ঘোষের শারীরিক সুস্থতা এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে এ রাজ্যে বিজেপির যে দলগত এবং রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে তারই উদ্দেশ্য এই তর্পণ। মদন বলেন, 'আমি আবারও বলছি, ব্যক্তিগতভাবে শুভেন্দু অধিকারী কিংবা দিলীপ ঘোষের (জন্য আমার এই) তর্পণ নয়, এ রাজ্যে বিজেপি'র যে মৃত্যু ঘটেছে, (এ) তারই আগাম তর্পণ।'
আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: রবিবার মহালয়া! জেনে নিন কেন দিনটি এত বিশিষ্ট, কী এর তাৎপর্য...
প্রসঙ্গক্রমে বালুরঘাটে বিজেপির পোস্টার ছেঁড়ার যে অভিযোগ সুকান্ত মজুমদার করেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বাচ্চা ছেলেরা খেলার মাঝে যেমন নালিশ করে এ তো তেমন হয়ে গেছে-- মা, ও আমার গায়ে কালি ছিটিয়েছে! এসব নালিশ পাত্তা দেয় না তৃণমূল। এর কোনও ভিত্তি নেই।
শনিবার থেকেই মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি সরগরম। রাজ্যে মিঠুন চক্রবর্তীর পুজো উদ্বোধন নিয়ে মদন জানান, মিঠুন চক্রবর্তী তো এতদিন বলতেন, উনি বাংলার ছেলে। তা হলে হঠাৎ করে বঙ্গসফরে এসে পুজো উদ্বোধনের কী দরকার? তা হলে উনি বহিরাগত। এসব বাদ দিয়ে মহাগুরুকে বলব, ভালো করে পুজো কাটান।
বিজেপির অভিযোগ, কেন্দ্রের টাকায় এতদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চলত। এ নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর নিজের টাকায় রাজ্যের মানুষের কল্যাণ করেছেন। রাজ্যের কেন্দ্রের টাকার দরকার নেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার শুধু নয়, আগামী দিনেও কেন্দ্রের সাহায্যে ছাড়াই চলবে জনকল্যাণকর প্রকল্প।