East Medinipur: ট্রেনে বচসা, হাতাহাতি! ফিরল কফিনবন্দী মৃতদেহ, রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
মৃত অমিতের পরিবারের দাবি, ট্রেন থেকেই সে বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিল কয়েকজন তাঁর সঙ্গে ঝামেলা করছে। তাকে মারধর করছে। এমনকি ট্রেনে তাঁকে কিছু ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়েছে বলে ফোন করে বাড়িতে জানিয়েছিল অমিত। তারপর থেকেই অমিতের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
কিরণ মান্না: মহারাষ্ট্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে হামলার শিকার এগরার যুবক। পরিবারের অভিযোগ মহারাষ্ট্রের জলগাঁও শহরের একটি হোটেলের কাজ ছেড়ে বাড়ি ফেরার পথে তার উপর হামলা হয়। তাঁকে ছত্তিশগড়ে গুরতর জখম অবস্থায় রেল পুলিস উদ্ধার করে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ছত্তিশগড় থেকে ফিরল সেই যুবকের কফিনবন্দী মৃতদেহ। পুরো ঘটনায় রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, মৃত যুবক পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, নাম অমিত প্রহরাজ।
আরও পড়ুন, Weather Today: আরও কমবে তাপমাত্রার পারদ, চলতি সপ্তাহেই কনকনে ঠান্ডায় কাঁপবে বাংলা
গত ১৮ নভেম্বর ট্রেনেই মাথায় গুরুতর চোট পায় সে। তারপরেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ছত্তিশগড়ের বালোদাবাজার ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পরের দিন অমিতকে নিয়ে যাওয়া হয় রায়পুরের ডিকেএস সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ২০ তারিখে ওই হাসপাতালের আইসিইউতেই মৃত্যু হয় অমিতের। মঙ্গলবার তাঁর মৃতদেহট কফিনবন্দী করে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। বাড়ির ছেলেকে এভাবে ফিরতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার।
মৃত অমিতের পরিবারের দাবি, ১৮ তারিখে সন্ধ্যে নাগাদ ট্রেন থেকেই সে বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিল কয়েকজন তাঁর সঙ্গে ঝামেলা করছে। তাকে মারধর করছে। এমনকি ট্রেনে তাঁকে কিছু ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়েছে বলে ফোন করে বাড়িতে জানিয়েছিল অমিত। তারপর থেকেই অমিতের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে ছত্তিশগড় পুলিসের তরফে জানা যায় সেখানকার হাসপাতালে অমিতের মৃত্যু হয়েছে।
চিকিৎসা চলাকালীন একাধিক পরীক্ষানিরীক্ষায় দেখা যায় অমিতের মাথায় গুরুতর চোট লেগেছিল। স্থানীয় পুলিস সূত্রে জানানো হয়েছে, রেল পুলিসের সহায়তায় অমিতকে প্রায় সংজ্ঞহীন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথম দিকে তাঁর পরিচয় না জানা গেলেও চিকিৎসায় কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত ২০ তারিখ সন্ধ্যে ৬টা ৩০ নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। সোমবার দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার অমিতের কফিন বন্দী দেহ মেদিনীপুরের বাড়িতে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন, Uluberia Accident: ফের দুর্ঘটনা উলুবেড়িয়ায়, জাতীয় সড়কে এবার গতির বলি ৩
মৃতের পরিজনদের অভিযোগ, ট্রেনের মধ্যে ছেলেটি কিভাবে হামলার শিকার হল, কারা এই ঘটনায় যুক্ত তা খুঁজে বের করুক রেল পুলিস। ওই দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতের পরিজনেরা। অমিতের পরিবার সূত্রে দাবি, মহারাষ্ট্রের যে হোটেলে অমিত কাজ করত সেখানে বেশ কয়েকমাস বেতন মিলছিল না। এই নিয়ে হোটেলের সঙ্গে ব্যাপক ঝামেলাও হয়। অবশেষে টাকা না পেয়ে খালি হাতেই বাড়ি ফিরে আসছিল। কিন্তু পথে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হামলায় চিরতরে হারিয়ে গেল তরতাজা যুবকটি। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।