মোটা অংকের কমিশন! ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকার টেন্ডার করার অভিযোগ বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে
বিউটি রজকের দাবি, সমস্ত নিয়ম মেনেই টেন্ডার হয়েছে। তবে ৬৬ লক্ষ টাকার টেন্ডার করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়ন ব্যাহত করতে মিথ্যা অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
রণজয় সিংহ: রাতের অন্ধকারে প্রায় ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকার টেন্ডার করার অভিযোগ উঠল বিজেপি পরিচালিত মালদার মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিউটি রজকের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে সরব হয়ে মানিকচক পঞ্চায়েতের ১৯ জন সদস্যের মধ্যে আটজন সদস্য মানিকচক বিডিও এর কাছে লিখিত অভিযোগ করে টেন্ডার বাতিল করার দাবি করলেন। তবে প্রধান বিউটি রজক এমন সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সানোয়ার আলী পারভেজের দাবি, মোটা অংকের টাকার কমিশনের বিনিময়ে নিজেদের পেটুয়া ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে সকলকে অন্ধকারে রেখে গোপনে টেন্ডার করছেন প্রধান। শনিবার স্পিড পোস্টের মাধ্যমে একজন পঞ্চায়েত সঞ্চালক টেন্ডার বিট ওপেনের নোটিশ পান। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়। পঞ্চায়েত সদস্যা ফুলোবতি চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, পঞ্চায়েতে যে এত টাকার টেন্ডার হচ্ছে সেই ব্যাপারে তাদের কিছু জানা নেই। সরাসরি টেন্ডার বিট ওপেনের নোটিস পেয়েছি।তাদের একেবারে অন্ধকারে রেখে মোটা টাকার বিনিময়ে নিজেদের পেটুয়া ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিতে এমনটা করছেন প্রধান। আমরা সমস্ত ঘটনার বিবরণ জানিয়ে মানিকচকের বিডিওকে অভিযোগ দায়ের করেছি। অবিলম্বে এই টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে টেন্ডার করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
তবে সমস্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করেছেন মানিকচক পঞ্চায়েত প্রধান বিউটি রজক। বিউটি রজকের দাবি, সমস্ত নিয়ম মেনেই টেন্ডার হয়েছে। তবে ৬৬ লক্ষ টাকার টেন্ডার করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়ন ব্যাহত করতে মিথ্যা অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক গৌড় চন্দ্র মন্ডল বলেন এই ব্লকে রাজ্যের প্রাক্তণ মন্ত্রী তথা বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র ও জামাই-এর অঙ্গুলিহেলনে চলে পঞ্চায়েতের কাজ। ফলে এই টেন্ডার প্রক্রিয়াতে তাদেরই ষড়যন্ত্র রয়েছে। সকলেই জানে টেন্ডারের বরাত পেতে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কমিশন দিতে হয়। আর এই পক্রিয়া পরিচালনা করেন শাসকদলের বড় নেতারা। বিজেপির প্রধানের পক্ষে এই কাজ সম্ভব নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতের সদস্যরা বড় নেতাদের কাজ থেকে ভাগ না পেয়েই এমন অভিযোগ তুলেছেন।
পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে জানা গেছে এলাকার রাস্তা, কালভার্ট সহ বৈদ্যুতিন বাতি লাগানোর কাজের টেন্ডার করা হয়। উল্লেখ্য ১৯ আসন বিশিষ্ট এই মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১০ জন ও তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ৯ জন। যদিও মানিকচক ব্লক আধিকারিক কোনও মন্তব্য না করলেও তিনি জানান, অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, Egra Blast: বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ! রাস্তায় ছিন্নভিন্ন দেহ, তীব্র আওয়াজে কেঁপে উঠল গ্রাম