কাশ্মীরে থাকা বাংলার শ্রমিকদের ফেরাতে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা মুখ্যমন্ত্রী
যেহেতু কার্যত কর্মসংস্থান খুইয়েই রাজ্যে ফিরতে বাধ্য় হচ্ছেন শ্রমিকরা, সেকারণে রাজ্যেই তাঁদের যে কোনও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
সুতপা সেন: কাশ্মীরে বাংলার শ্রমিক হত্যার জের। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৎপর রাজ্য প্রশাসন। উপত্যকায় কর্মরত রাজ্যবাসীদের ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে নবান্ন। রাতে জম্মু থেকে ট্রেনে উঠছেন ১৩১ জন শ্রমিক। তাঁদের রাজ্যে ফেরার গোটা প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
সম্প্রতি কাশ্মীরে যে সমস্ত রাজ্যবাসীরা রয়েছেন তাঁদের থেকেই অনুরোধ আসে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। জানান, তাঁরা প্রত্যেকেই সংকটে রয়েছেন। গোটা বিষয়টি জানিয়ে রাজ্য সরকারের সাহায্যও চান তাঁরা। সেই খবর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছতেই ব্যবস্থা নেন তিনি। কথা বলেন জম্মু কাশ্মীরের সরকারের সঙ্গেও। এরপরই উপত্যকায় থাকা রাজ্যবাসীকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন নেত্রী।
কাশ্মীরে থাকা শ্রমিকদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই বাসে করেই কাশ্মীর থেকে জম্মুর উদ্যেশে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। আজ রাত ১২.২০ নাগাদ জম্মুতে এসে পৌঁছবেন সকলে। সেখান থেকেই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। সম্পূর্ণ একটি কোচ ভাড়া করা হয়েছে তাঁদের জন্য। আশা করা যাচ্ছে, আগামী দুদিনের মধ্যেই ঘরে ফিরবেন উপত্যকায় থাকা রাজ্যবাসীরা।
আরও পড়ুন: ভোরের আলো ফুটতেই সাগরদিঘি পৌঁছল কাশ্মীরে নিহত ৫ শ্রমিকের নিথর দেহ
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, যেহেতু কার্যত কর্মসংস্থান খুইয়েই রাজ্যে ফিরতে বাধ্য় হচ্ছেন শ্রমিকরা, সে কারণে রাজ্যেই তাঁদের যে কোনও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কুলগ্রামের কাটারসুতে একটি বাড়িতে কর্মরত শ্রমিকদের ওপরে গুলি চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের ওই গুলিতে নিহত হন মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির ব্রাহ্মণী গ্রামের ৫ শ্রমিক। গুরুতর আহত হন একজন।নিহতদের নাম- কামরুদ্দিন শেখ, মুর্শিনাম শেখ, রফিক আহমদ শেখ, নইমুদ্দিন, রফিকুল আলম।