'দলিতের ঘরে বসে ফাইভ স্টার হোটেলের বাসমতি চালের ভাত খান', অমিতকে কটাক্ষ মমতার
"রান্নার সময় দেখলাম ধনেপাতা কাটা হচ্ছে। অথচ উনি খেলেন পোস্তর বড়া!"
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামে আদিবাসী ঘরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজনকে এদিন খাতড়ার প্রশাসনিক সভামঞ্চ থেকে চাঁছাছোলা ভাষায় কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবটাই 'নাটক, ভাঁওতাবাজি' বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, "ফাইভ স্টার হোটেল থেকে বাসমতি চালের ভাত নিয়ে এসে দলিতদের ঘরে বসে খায় ওরা। যদিও তোমার ঘরে বসে খাব বলেছিলেন! রান্নার সময় দেখলাম ধনেপাতা কাটা হচ্ছে। অথচ উনি খেলেন পোস্তর বড়া! যে তরকারি রান্না হল, সেই খাবার খেল না! মানুষ এখন এসব দেখতে পায়। মানুষ ওদের ভাঁওতাবাজি ধরে ফেলেছে।" একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, অমিত শাহের আসার জন্য আদিবাসী পরিবারের দালান রং করা হয়েছিল। স্যানিটাইজ করা হয়েছিল। কিন্তু এদিনও খাতড়ায় আসার পথে একটি তফশিলি গ্রামে যান। তারজন্য কোনও রং করতে হয়নি, স্যানিটাইজ করতে হয়নি। ওই গ্রামে গিয়ে সেখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের অভাব-অভিযোগ সম্বন্ধে খোঁজখবর নেন। সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন কিনা, সে খোঁজ নেন। তাতে তাঁর কাছে সেখানকার বাসিন্দারা পাকা বাড়ির আর্জি জানান বলে সভায় উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, প্রশাসনিক সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে খাতড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তফশিলি অধ্যুষিত বেঁকিয়া গ্রামে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, ৫ নভেম্বর বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যার সবটাই 'পলিটিক্যাল স্টান্টবাজি' বলে কটাক্ষে সরব হয়েছিল শাসক-বিরোধী সব পক্ষ। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষের পর ফের পাল্টা কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষও। সোমবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলায় হিন্দু যুব বাহিনীর জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করতে আসেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেখানেই দিলীপ ঘোষ বলেন, "এক রান করে গিয়েছিলেন বোধহয়, কেউ ভাত খেতে দেয়নি। অমিত শাহ বাঁকুড়াতে এসে খাটিয়াতে বসে ছিলেন। এটা দেখেই মুখ্যমন্ত্রীও খাটিয়াতে বসেছেন, দিনকয়েক বাদে তিনি মাটিতে বসবেন।"
আরও পড়ুন, 'দিল্লির সরকার আলুর সরকার, ওরা খেতে দিচ্ছে না,' মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর